ভোটের দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূ ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন।
Published : 05 Jan 2019, 12:45 AM
তিনি বলেছেন, “ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচরে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীর ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত রোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। জাতি হিসেবে এই ঘটনা সবাইকে অত্যন্ত হেয় প্রতিপন্ন করেছে। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা কল্পনা করা কঠিন।”
গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে সুবর্ণচর উপজেলার মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে ওই নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষণের শিকার চল্লিশোর্ধ ওই নারীর অভিযোগ, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
এই ঘটনা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হুমকির সম্মুখীন করেছে বলে মন্তব্য করেন কামাল হোসেন।
“এই লজ্জা শুধু ওই নারীর নয়, সমগ্র জাতির। সে নির্যাতিত নয় বরং নির্যাতিত হয়েছে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। এখন থেকে তার সকল দায়িত্ব আমাদের সকলের।”
সরকার এই ঘটনাকে ‘ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে’ সন্ত্রাসী ধর্ষকদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে বলেও অভিযোগ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামাল।
তিনি বলেন, “পুলিশ বাদীর কথিত মতে হুকুমের আসামিসহ অনেকের নাম বাদ দেওয়াতে আমি ক্ষোভ প্রকাশ করছি। অবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।”
এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী থানায় যে মামলা করেছেন সেখানে রুহুল আমিনের নাম বাদ পড়লেও পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তার অভিযোগের ভিত্তিতে এই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধর্ষণে জড়িত অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে রুহুল আমিনের এক সহযোগী এবং চারজন ইটভাটা শ্রমিক রয়েছে।
এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য দেশের জনগণকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন কামাল হোসেন।