এ নিষেধাজ্ঞা বিশ্ববিদ্যালয় ধারণার চরম বিরোধী: ওয়ার্কার্স পার্টি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগতদের’ অবস্থান ও কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় ধারণার চরম বিরোধী’ অভিহিত করে শিগগির তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2018, 07:07 AM
Updated : 10 July 2018, 07:07 AM

মঙ্গলবার দলটির পলিটব্যুরোর এক বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি চরম দুঃখজনক। আন্দোলন-সংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের কোনো সময়েই এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এটা বিশ্ববিদ্যালয় ধারণার চরম বিরোধী।

“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য এবং তার ধারণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় বলে আমরা বিশ্বাস করি। আশা করি শীঘ্রই এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা প্রোক্টরের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগতদের’ অবস্থান, ঘোরাফেরা এবং কার্যক্রম পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর ক্যাম্পাসে উদ্ভূত ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৫ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভায় নেওয়া এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রভোস্ট কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও হোস্টেলগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ছাত্রত্ব নেই এমন কাউকে হলে থাকতে দেওয়া হবে না; ‘অছাত্রদের’ হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হবে।হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো অভিভাবক বা অতিথিও হলে অবস্থান করতে পারবে না।

সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা গত কয়ে মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে, যার কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

তাদের আন্দোলনের মধ্যে এক রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে তাণ্ডব চালানো হয়। আন্দোলনকারীদের নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে একটি ছাত্রী হলে রাতভর চলে উত্তেজনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল সংসদে কোটা পদ্ধতি আর না রাখার কথা বলায় আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন না পেয়ে তারা নতুন করে আন্দোলনে নামলে ওই কর্মসূচিতে কয়েক দফা ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার ঘটনা ঘটে।

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনাগুলোর তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি কমিটিও করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।