খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার ‘ভোট ডাকাতির’ পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
Published : 14 May 2018, 05:54 PM
মঙ্গলবার খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট হবে।
সোমবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “খুলনা মহানগর আজকে ভয়ের নগরীতে পরিণত হয়েছে, সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সকলে ভয়ে ভীত আগামীকাল ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে পারবে কী পারবে না।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের এজেন্টদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে, এমনকি প্রিজাইডিং অফিসারদেরও সরকারি কর্মকর্তারা ভয় দেখাচ্ছে যেন কোনোভাবে ধানের শীষে ভোট না পড়ে। এভাবে সরকার তার প্রশাসন, পুলিশ এবং এই নির্বাচনের সাথে যারা সম্পৃক্ত সকলে মিলে আগামীকাল একটা ভোট ডাকাতি করতে চায়। তারা নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে চলেছে।”
খন্দকার মোশাররফ বলেন, “খুলনায় প্রচারণায় এটা স্পষ্ট প্রমাণিত যে, ভোটাররা যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে পারে তাহলে আগামীকাল বিপুল ভোটের ব্যবধানে ধানের শীষের জয় হবে এবং বিএনপি সেখানে নির্বাচিত হবে, মনজু (বিএনপির মেয়ার প্রার্থী নজরুল ইসলাম মনজু) সেখানে নির্বাচিত হবেন।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের প্রার্থীর যারা এজেন্ট হবার কথা তাদের অনেককেই গ্রেপ্তার করেছে, অনেকের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখাচ্ছে, বাড়িতে গিয়ে বলে আসছে যে ধানের শীষের এজেন্ট হিসেবে কালকে যেন তারা ভোট কেন্দ্রে না যায়। এভাবে ভোটের আগের দিন খুলনা নগরীকে একটা ভয়ের নগরীতে পরিণত করা হয়েছে।
“উদ্দেশ্য একটাই- বিএনপির বিজয়কে ঠেকিয়ে দেওয়া। এজন্য আজকে সরকারি কর্মকর্তা, প্রশাসন, পুলিশ সকলে মিলে ধানের শীষের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছে।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে দেশনেত্রী মুক্তি পরিষদ নামক সংগঠনের উদ্যোগে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মুক্তির দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়।
কোটা সংস্কারের দাবি প্রসঙ্গে সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “কোটা আন্দোলনে কোনো নেতা ছিল না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই আন্দোলনে যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল তার জন্য প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন- কোটা পদ্ধতি বাতিল। তারপরও কেন এখনো প্রজ্ঞাপন জারি হল না।
“প্রধানমন্ত্রীর আদেশের পরেরদিনই প্রজ্ঞাপন জারি করা উচিৎ ছিল। আজকে কেন প্রজ্ঞাপন জারির জন্য আবার আন্দোলনকারীদের মাঠে নামতে হবে। আমরা এখান থেকে দাবি করছি অনতিবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপন জারি করে এই সমস্যা সমাধান করা হোক।”
নির্দলীয় সরকারের অধীনে একাদশ নির্বাচনের দাবিও আগামীতে সরকার মেনে নিতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, আগামী সংসদ নির্বাচন ও গণতন্ত্র এক সূত্রে গাঁথা।”
আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, আফরোজা খানম নাসরিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।