আনুষ্ঠানিক অনুমতি না পেলেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোববারের সমাবেশের বিষয়ে পুলিশের ‘সবুজ সঙ্কেত’ পেয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
Published : 09 Nov 2017, 06:38 PM
৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত ওই সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন পর ঢাকায় কোনো জনসভায় আসছেন।
এই সমাবেশের অনুমতি এখনও না মেলায় সরকারের সমালোচনা করে আসছিল বিএনপি। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, বিএনপি অনুমতি পাচ্ছে।
এরপর বিকালে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১২ নভেম্বর জনসভা হবে, এটি নিশ্চিত। আমরা লিখিত অনুমতি পাইনি, তবে এটা নিশ্চিত যে এটা হবে।
“আমাদের সঙ্গে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেছেন, ১২ তারিখের সমাবেশে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এটা বলছি, আমরা নিশ্চিত যে ১২ নভেম্বর জনসভা হবে।”
যে কর্মকর্তার কাছ থেকে নিশ্চিয়তা পাওয়ার কথা বলেছেন, তিনি ডিএমপি কমিশনার কি না- প্রশ্ন করা হলে রিজভী বলেন, “হ্যাঁ, ডিএমপি কমিশনার।”
সকালে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, “পুলিশ (বিএনপিকে) অনুমতি দিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে পেয়ে যাবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুমতি আপনারা পেয়েছেন, এটাই সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা।”
৭ নভেম্বরের কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, বরগুনার বামনা, মেহেরপুরের গাংনী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, ভোলার লালমোহনের বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর ক্ষমতাসীন দলের হামলা ও পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযানের নিন্দা জানান রিজভী।
ঢাকায় সিপিএ সম্মেলনের কারণে ৭ নভেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেনি।
ঢাকার হাজারীবাগ থানা বিএনপির সদস্য সচিব আবদুল আজিজকে বুধবার পুলিশ আটক করেছেন দাবি করে তাকে ফেরত দেওয়ার দাবিও জানান দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, “আবদুল আজিজ পরিচিত এক নেতা। সবাই দেখেছে আজিজকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পুলিশ স্বীকার করছে না। কী বিভীষিকাময় অবস্থা!”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল করীম শাহিন, মুনির হোসেন, কাজী আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।