সরকার সমর্থক সংগঠন ওলামা লীগের সাথে আওয়ামী লীগের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
Published : 13 Apr 2016, 12:39 AM
ওলামা লীগ বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বন্ধের আহ্বান জানানোর প্রেক্ষাটে ‘জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চা’ সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কী সম্পর্ক, তা স্পষ্ট করার আহ্বান জানানোর পরদিনই আওয়ামী লীগ থেকে এ বক্তব্য আসে।
মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র হানিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওলামা লীগের সাথে আওয়ামী লীগের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। এ ধরনের সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে শনিবার বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধের দাবি জানায় ওলামা লীগ। হিন্দু সম্প্রদায়ের এস কে সিনহাকে প্রধান বিচারপতি করার বিরোধিতাও করে সংগঠনটি।
এর দু-দিন পর সোমবার সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দেওয়ায় ওলামা লীগ নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানোর পাশাপাশি এই সংগঠনটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কী সম্পর্ক, তা স্পষ্ট করার আহ্বান আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চা’র এক একটি সমাবেশ থেকে।
সমাবেশে মোর্চার আহ্বায়ক আবেদ খান বলেছিলেন, “ভূইফোঁড় সংগঠন ওলামা লীগ আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে প্রতারিত করছে। এরা স্বচ্ছন্দে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।
“পুলিশ যদি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বাধা দিতে পরে, তাহলে দেশবিরোধী এবং সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেওয়া এই সংগঠনকে কেন প্রতিরোধ করা হবে না।”
ওলামা লীগ স্বীকৃত সহযোগী সংগঠন নয় বলে আওয়ামী লীগ দাবি করলেও এই সংগঠনটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে দলের নেতাদের অংশগ্রহণ দেখা যায়। তেমনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যায় সংগঠনটির ব্যানারসহ উপস্থিতি।
সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র কমান্ডের নেতা কামাল পাশা চৌধুরীও বলেছিলেন, “আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বিচ্ছিন্নভাবে বলছেন, ওলামা লীগ তাদের সংগঠন নয়। কিন্তু এটা পরিষ্কার করা দরকার। আওয়ামী লীগ নেতাদের বলব, আপনারা পত্রিকায় বিবৃতি দেন।
“যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে ৭৫ এর প্রেতাত্মার ছায়া দেখতে পাচ্ছি। আজকে এরা বলছে, পহেলা বৈশাখ করা যাবে না; কাল বলবে, জাতীয় সংগীত গাওয়া যাবে না।”
সমাবেশের ব্যানারে লেখা ছিল- “মুখোশধারী জঙ্গি পাকিস্তানি প্রেতাত্মা আওয়ামী ওলামা লীগ নামধারী দুর্বৃত্তদের নিষিদ্ধ কর, প্রতিহত কর।”
গণজাগরণবিরোধী হেফাজতে ইসলামের সমরূপ দাবি তুলেও সমালোচনায় পড়তে হয়েছে ওলামা লীগকে।
কামাল পাশাও ওই সমাবেশে বলেছিলেন, “গণজাগরণ মঞ্চের প্রথম বিরোধিতা করেছিল এই ওলামা লীগ। এরা মুখোশধারী আওয়ামী লীগ।”