এ ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
Published : 18 May 2024, 12:54 PM
রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মীসহ দুইজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার সকালে উপজেলার লংগদু ইউনিয়নের বড়হাড়িকাবা ভালেদি ঘাটে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন লংগদু থানার ওসি হারুনুর রশিদ।
এ ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের মুখপাত্র নিরন চাকমা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, “ওই এলাকায় জেএসএস এর কোনো কার্যক্রম নেই। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হতে পারে। তারা নিজেদের অপকর্মের দায় আমাদের ওপর চাপানো চেষ্টা করছেন।”
নিহতরা হলেন- উপজেলার কাট্টলির কুকিছড়া গ্রামের সময়মনি চাকমার ছেলে বিদ্যাধন চাকমা ওরফে তিলক (৪৫) এবং ধুধুকছড়া বড় হাড়িকাবা গ্রামের লেংগ্যা চাকমার ছেলে ধন্যমনি চাকমা (৩৫)।
এ ঘটনার জন্য সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে ইউপিডিএফয়ের রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা বলেন, “সকাল সাড়ে ৮টায় ভালেদি ঘাটের পাশে সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর হামলা চালায় জেএসএসের সাতজনের সশস্ত্র একটি দল। হামলায় ঘটনাস্থলেই ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যা ধন চাকমা ও স্থানীয় এক বাসিন্দা নিহত হয়।”
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী, সমর্থককে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান সচল চাকমা।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, “এলাকাটি অনেক দুর্গম হওয়ায় সেখানে পুলিশ পৌঁছাতে সময় লাগবে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।”
আরও পড়ুন: