শওকত মাহমুদকে ওষুধ দিয়ে এলেন স্ত্রী

গ্রেপ্তার শওকত মাহমুদের জন্য ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে দিয়ে এসেছেন তার স্ত্রী ফেরদৌসী মাহমুদ।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পান্থপথ থেকে গ্রেপ্তারের পর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এই সাংবাদিক নেতাকে।

খবর শুনে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে যান ফেরদৌসী। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে স্বামীর প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাবার ও জামাকাপড় দিয়ে আসেন তিনি।

ফেরদৌসী সাংবাদিকদের বলেন, “তার (শওকত) শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। গত শুক্রবার উনি ব্যাংকক থেকে চিকিৎসা করিয়ে দেশে ফিরেছেন।”

“আমি ওষুধ, খাবার ও জামাকাপড় দিয়ে এসেছি। আমাকে বলা হয়েছে, বিকাল সাড়ে ৩টার পর তার কাছে সেসব পৌঁছে দেওয়া হবে,” বলেন তিনি।

সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের সংবাদ সম্মেলনে যাওয়ার পথে শওকত মাহমুদের গাড়ি থামিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অবরোধ-হরতালে নাশকতার মামলার আসামি শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তারের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেছেন, তার নামে কয়েকটি মামলা আছে। এ কারণেই তাকে ধরা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা মুনতাসিরুল সাংবাদিকদের জানান, যাত্রাবাড়ী এলাকায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এজাহার ও অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি শওকত মাহমুদ।

তবে ফেরদৌসী জানান, গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তারের বিষয়টি স্বীকার করলেও কোন মামলায় শওকতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তা স্পষ্ট করে তাদের জানায়নি।

তিনি বলেন, “আজকে বসুন্ধরা মার্কেট সংলগ্ন সামারাই কনভেনশন সেন্টারে আদর্শ ঢাকা আন্দোলন নামে একটি সংগঠনের অনুষ্ঠানে তার অতিথি হিসাবে যোগ দেওয়ার কথা ছিল।

“সেখান থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে সিলভার কালারের একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসে গাড়িতে করে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।”

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদের একান্ত সচিব আবদুল মোমিন বলেন, “সিলভার কালারের একটি হাইয়েস মাইক্রোবারে করে কয়েকজন স্যারের গাড়ির সামনে এসে তাকে নামতে বলে। স্যার না নামলে তাকে টানাহেঁচড়ার চেষ্টা করে। পরে স্যার নিজেই গাড়ি থেকে নেমে যান।”

পান্থপথের সামারাই কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ধরার কথা ছিল তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ভোটের প্রচারে কাজ করা আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের নেতাদের।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদ বিএনপি সমর্থিত এই ফোরামের সদস্য সচিব।

শওকত মাহমুদ গ্রেপ্তার