‘পাকিস্তান ভালো ছিল’, ‘লজ্জা নেই’ বলেই বলতে পারেন: বিএনপিকে পরশ

“কেউ আসুক আর না আসুক- নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে,” বলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান।

পাকিস্তানের তাঁবেদারি করার কারণেই বিএনপি দেশটির পক্ষে সাফাই গাইছে বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীরা আপনাদের মত আদর্শহীন রাজনীতি করে না, আমাদের নেতাকর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে। আপনাদের মত পাকিস্তানের তাঁবেদারি রাজনীতি আমরা করি না। তাই আপনারা বলতে পারেন, ‘এই বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান ভালো ছিল’। আপনাদের লজ্জা নাই, তাই আপনারা এমন কথা বলতে পারেন।”

শনিবার ঢাকার ফার্মগেইটে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের শান্তি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পরশ বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার নাম এসেছিল মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়। আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং মামলাতেও তিনি দুর্নীতির বরপুত্র এবং সারা বিশ্বে কুখ্যাত। এছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলা ও দুর্নীতির কারণে দেশ-বিদেশে তার ব্যাপক সুনাম আছে।

“এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী এবং দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন রাজনৈতিক দল এখন আমাদেরকে সন্ত্রাসী হিসাবে উপস্থাপন করার রাজনৈতিক কৌশল হাতে নিয়েছে। বিএনপির নেতৃবৃন্দদের বলতে চাই- জনগণকে আপনারা ভিক্টিম বানানোর স্পর্ধা দেখাবেন না। জনগণের অধিকার, অর্থাৎ জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় যদি আপনারা ব্যাঘাত ঘটান, তার দাঁতভাঙ্গা জবাব আপনারা রাজপথেই পাবেন।”

বিএনপির উদ্দেশে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের পুলিশ বাহিনীর উপর যদি আপনারা চড়াও হন, তাহলে কিন্তু এদেশের জনগণ সেটা মেনে নেবে না। যেই পুলিশ বাহিনীকে আপনারা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।

“যেই দেশকে আপনারা জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন, এই পুলিশ বাহিনীর কৃতিত্বে সেই জঙ্গিবাদ আজ প্রায় নির্মূল এবং নির্বাসনে। সুতরাং আপনাদের সাবধান করে দিচ্ছি, আমাদের পুলিশ বাহিনীর উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করবেন না।”

পরশ বলেন, “আজকে অনেকে মানবাধিকারের কথা বলে। বাংলাদেশের মানুষ জানে, কারা এদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে? কারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে? তাই আগামী নির্বাচন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে হবে। কেউ আসুক আর না আসুক- নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে।”

বিএনপিকে ‘নিকৃষ্ট সংগঠন’ আখ্যায়িত করে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, “বিএনপি একটি মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সংগঠন। জনবিচ্ছিন্ন এই সংগঠনটি জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়।

“…বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়াউর রহমান এদেশের ছাত্র সমাজকে ধ্বংস করার জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হাতে টাকা আর অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। এটাই হচ্ছে বিএনপির আসল চেহারা।”

ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ উত্তর আয়োজিত সমাবেশে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশিদ, খালেদ শওকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মশিউর রহমান চপল, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী বক্তব্য রাখেন।