“আমরা পার্বত্য এলাকার পর্যটন শিল্প ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে নস্যাৎ হতে দিতে পারি না,” বলেন তিনি।
Published : 23 Sep 2024, 08:45 PM
পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
তিনি বলেছেন, “সবুজ পাহাড়ে রক্তের দাগ দেখতে চাই না। আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমরা ঐক্য ও সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা পার্বত্য এলাকার পর্যটন শিল্প ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে নস্যাৎ হতে দিতে পারি না।”
সোমবার দুপুরে ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টি ও জাতীয় হকার্স পার্টির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
পাহাড়ে সকল পক্ষকে ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানান কাদের।
রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সংঘাতের শুরু হয় গত ১৮ সেপ্টেম্বর। সেদিন সকালে চুরির অভিযোগে মামুন নামে এক যুবক ‘পিটিয়ে হত্যা’র প্রতিবাদে পরদিন বিক্ষোভ মিছিল বের করে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মিছিলের এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে লারমা স্কয়ারের দোকানপাটে আগুন দেয় একটি পক্ষ। তাতে ৬০ থেকে ৭০টি দোকান পুড়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ।
সংঘর্ষে সময় আহতদের খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়।
দীঘিনালার ওই ঘটনার জেরে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পুরো জেলায় আতঙ্ক তৈরি হয়। নাশকতা রোধে খাগড়াছড়ি পৌর শহর ও জেলা সদরে ২০ সেপ্টেম্বর বেলা ২টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
খাগড়াছড়ির সংঘাতের জেরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে আরেক পার্বত্য শহর রাঙামাটিতেও। সেখানে সংঘর্ষে একজন মারা যান। আহত হন অন্তত ৫০ জন। সেখানেও দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পর রাঙামাটি পৌর এলাকায়ও ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শনিবার এই দুই পার্বত্য জেলা সফর করেন তিন উপদেষ্টা।
পাহাড়ে সংঘাতের এ ঘটনার বিষয়ে সোমবার মতবিনিময় সভায় কথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
সভায় জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টির সভাপতি আজহারুল ইসলাম সরকার সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন জাতীয় হকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ নিজাম।
জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টির কামাল উদ্দিন, বোরহান উদ্দিন মাস্টার, হাফিজুর রহমান চৌধুরী, শফিকুল আলম মুকুল, জাতীয় হকার্স পার্টির মো. ফরিদ হোসেন, মো. রাজীব শরীফ, মো. ইসমাইল হোসেন আলো ও সাজেদুল হক লিটন উপস্থিত ছিলেন।