তিনদিনের কর্মসূচির মধ্যে ১ জুলাই সারাদেশের মহানগরে এবং ৩ জুলাই জেলা সদরে সমাবেশ করবে বিএনপি।
Published : 29 Jun 2024, 02:55 PM
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করছে বিএনপি।
নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয় শনিবার বিকাল ৩টায়।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সভাপতিত্বে সমাবেশে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন।
সকাল থেকে দুই দফা বৃষ্টি হওয়ায় নয়া পল্টনের সড়কের দুই প্রান্তে বেলা ১টা পর্যন্ত পানি জমে থাকলেও রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন নেতাকর্মীরা।
ছয়টি খোলা ট্রাক একত্রিত করে তৈরি করা অস্থায়ী মঞ্চে টানানো হয়েছে বিশাল ব্যানার। সেখানে খালেদা জিয়ার প্রতিকৃতির পাশে লেখা রয়েছে ‘প্রতিহিংসার শিকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সমাবেশ’।
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আমাদের মা, গণতন্ত্রের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশে ঢাকা মহানগর ছাড়াও আশপাশের থেকেও নেতাকর্মীরা আসছেন। এখন দুইটা বাজে, আপনি দেখুন প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে কীভাবে মানুষজন আসছে। এই সমাবেশ স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে বলে আমি মনে করি।”
গত ২৩ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রের ‘পেসমেকার’ বসানোর পর বিএনপির স্থায়ী কমিটি দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন জোরদারের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২৬ জুন বিএনপি মহাসচিব তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন যার প্রথমটি হল ঢাকার সমাবেশ।
তিনদিনের কর্মসূচির মধ্যে ১ জুলাই সারাদেশের মহানগরে এবং ৩ জুলাই জেলা সদরে সমাবেশ করবে বিএনপি।
সমাবেশ উপলক্ষে কাকরাইল ও ফকিরেরপুলের মোড়ে ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
সমাবেশ সফল ও শান্তিপূর্ণ রাখতে বিএনপি তার অঙ্গসংগঠনের সদস্যদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করেছে।
মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, কৃষক দল, মহিলা দল, ছাত্রদল, উলামা দল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল, জাসাস, ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ সমাবেশে অংশ নিচ্ছে বলে জানান দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।