“পলাতক স্বৈরাচারের পৃষ্ঠপোষক ও দোসরদের কোনো উসকানিতে দয়া করে পা দেবেন না,” বলেন তিনি।
Published : 29 Oct 2024, 09:12 PM
বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সমান অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “ভবিষ্যতে যাতে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ ধর্মীয় রীতিনীতি নিশ্চিন্তে নিরাপদে উদযাপন করতে পারেন, তেমন একটা রাষ্ট্র এবং সমাজ বিনির্মাণের জন্যই বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ। সকলের উদ্দেশে আমাদের বার্তা একটিই…ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।
“সুতরাং আপনাদের প্রতি বিনীত আহ্বান, পলাতক স্বৈরাচারের পৃষ্ঠপোষক এবং তাদের দোসরদের কোনো উসকানিতে দয়া করে পা দেবেন না। কোনো গুজব, গুঞ্জনে দয়া করে কান দেবেন না।”
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে হিন্দু সম্প্রদায়কে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভিডিও কলে বক্তব্য দেন তারেক রহমান।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আমাদের একটিই বার্তা- বিশ্বাসী, অবিশ্বাসী, সংশয়বাদী কিংবা মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী…এই বাংলাদেশ আপনার, আমার, আমাদের সবার। তথাকথিত সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু নয়, এই জাতি রাষ্ট্রের আমাদের একটাই গর্বিত পরিচয়, আমরা সকলে বাংলাদেশি।
“এই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আপনার যতটুকু অধিকার, আমারও ঠিক ততটুকুই অধিকার। আমাদের সবার কাছে সবার আগে বাংলাদেশের স্বার্থই হবে সবচাইতে বড়। রাষ্ট্র-রাজনীতি, শাসন-প্রশাসন পরিচালনায় আমরা গুরুত্ব দেব ‘মেরিটোক্রেসিকে’। এদেশের সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে, এটাই বিএনপির নীতি, বিএনপির রাজনীতি।”
দেশে জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে একাত্তর সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ আর হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ’২৪ সালের দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ, সব ক্ষেত্রেই গণতন্ত্রকামী জনগণ বিজয়ী হয়েছে। সুতরাং হাজার হাজার আহত মানুষের আর্তচিৎকার, হাজারো লাখো শহীদের রক্তস্নাত জমিনে আমাদের মধ্যে যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে, যেকোনো মূল্যে আমাদেরকে সেই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে।’
“আমি বিশ্বাস করি, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করা গেলে কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র করে আর কেউ আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে সক্ষম হবে না ইনশাল্লাহ। আমি বলতে চাই, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, আফরোজা খানম রীতা, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম জামাল, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, অপর্না রায় দাস, সুশীল বড়ুয়া, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, তুরন দে, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব বক্তব্য দেন।