Published : 28 Oct 2022, 09:27 PM
বিএনপির সভা-সমাবেশকে ঘিরে তাদের ঘরানার পরিবহন মালিকরাও ‘শঙ্কিত’ হয়ে সবাই মিলে পরিবহন ধর্মঘট ডাকছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, “পরিবহন মালিকদের যে সংগঠন আছে, সেখানে বিএনপি আছে, আওয়ামী লীগ আছে, জাতীয় পার্টি আছে, জাসদসহ বিভিন্ন দলেরই মানুষ আছে।
“শিমুল বিশ্বাস বাবু তো পরিবহন নেতা, তিনি তো বিএনপি করেন। উনারাই তো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ধর্মঘট ডাকার। সুতরাং বিএনপি ঘরানার পরিবহন মালিকরাও শঙ্কিত এবং তারা কেউই যাতে বিএনপির অপরাজনীতির শিকার না হন, সে জন্য সবাই মিলেই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে রংপুরে ৪৮ ঘণ্টার জন্য বাস বন্ধ করে দিয়েছেন মালিক-শ্রমিকরা। তাতে ভোগান্তিতে পড়েছে উত্তরের আধা ডজন জেলার মানুষ।
এর আগে খুলনা ও ময়মনসিংহেও বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে একই চিত্র দেখা গেছে। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীনরাই বাস বন্ধ রাখতে ‘বাধ্য করছে’।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপিকে তো পরিবহন মালিকরা-শ্রমিকরাও চেনে। কারণ বিএনপি ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে পরিবহনের উপর অগ্নিবোমা নিক্ষেপ করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল।
“শত শত গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল। সেজন্য পরিবহন মালিকরা শঙ্কিত। ফলে বিএনপি যেখানেই এই ধরনের সমাবেশ ডাকে, পরিবহন মালিকরা শঙ্কিত হয়ে ধর্মঘট ডাকছে।”
‘বিশ্বচোরদের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল’
দেশের রিজার্ভের টাকা সরকার ‘গিলে খেয়েছে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল এবং শুনতে খারাপ লাগলেও বিশ্বচোরদের মুখপাত্র হচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “বিশ্বচোরদের এখন বড় গলা। উনারা তো হাওয়া ভবন বানিয়েছিলেন। হাওয়া ভবনে বসে জনগণের সমস্ত ব্যবসার ওপর, প্রজেক্টের ওপর টোল বসিয়েছিলেন। জনগণের টাকাটা গিলে খেতেন তারা। হাওয়া ভবনটা আসলে একটা খাওয়া ভবন ছিল। তারা জনগণের টাকা অতীতে গিলে খেয়েছেন তো, সেজন্য শুধু খাওয়ার কথা চিন্তা করেন। সেজন্যই কালকে তিনি এ বক্তব্য দিয়েছেন।”
দেশের রিজার্ভের পরিমাণ বিএনপির আমলে তুলনায় বর্তমানে ১২ গুণ বেশি রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বিএনপির শেষ সময় ২০০৬ সালে রিজার্ভ ছিল ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ সাড়ে তিন বিলিয়নেরও কম। আমাদের নেত্রী, আমাদের সরকার সেটি ৪৪ বিলিয়নে উন্নীত করেছেন।
“এখন বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে, দেশে নানা ধরনের ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগের কারণে এবং রিজার্ভ থেকে টাকা নিয়ে বিশেষ তহবিল গঠনের কারণে সেটি ৩৭ বিলিয়নে গেছে। এরপরও বিএনপির সময়ের তুলনায় ১২গুণ বেশি।”