“ষড়যন্ত্র ২০১৪ সালেও ছিল, ২০১৮ সালেও ছিল। কোনো ষড়যন্ত্রে লাভ হবে না। দেশ অব্যাহতভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে।”
Published : 13 Aug 2023, 09:02 PM
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, এগুলো করে লাভ হবে না। বিএনপির ক্ষমতায় আসার কোনো ‘সম্ভাবনা নেই’।
সচিবালয়ে রোববার এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “জনগণের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে, মানুষ পুড়িয়ে, মানুষের সহায়-সম্পত্তি পুড়িয়ে সর্বোপরি পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়িয়ে কখনোই ক্ষমতায় আসা সম্ভবপর নয়। সে কারণে বিএনপির ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।”
বিএনপি আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় না এলে দেশ ৫০ বছর পিছিয়ে যাবে বলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য রেখেছেন, সে বিষয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “আগামী নির্বাচনে না এলে বিএনপিই ৫০ বছর পিছিয়ে যাবে। দল টেকানোই তখন তাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল সাহেবের তো পাকিস্তানপ্রীতি আছে। তিনি কিছুদিন আগে বলেছেন- পাকিস্তানই ভালো ছিল। উনারা পাকিস্তানকে অনুসরণ করে। পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া।
“আমার প্রশ্ন, তারা পাকিস্তানকে কেন অনুসরণ করে? যাদের এত পাকিস্তানপ্রীতি তারা প্রয়োজনে পাকিস্তান চলে যেতে পারে। তাও যদি পাকিস্তান তাদের গ্রহণ করে আরকি।”
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, “ষড়যন্ত্র ২০১৪ সালেও ছিল, ২০১৮ সালেও ছিল। কোনো ষড়যন্ত্রে লাভ হবে না। দেশ অব্যাহতভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে।
“গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশ যেভাবে এগিয়েছে সমগ্র পৃথিবী তার প্রশংসা করছে। জাতিসংঘের মহাসচিব, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থনীতিবিদ, পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রনায়করা এবং বিশ্বের শীর্ষ পত্রপত্রিকাও প্রশংসা করছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল সাহেব বা তাদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সেটি দেখতে পান না। এটি তাদের চেতনার দৈন্য, রাজনৈতিক দৈন্য আর দেখেও না দেখার ভান।”
এদিন সচিবালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী স্মরণে তথ্য অধিদপ্তর আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী।
সেখানে তিনি বলেন, “ইতিহাসের পাতা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা সফল হয়নি। বরং যারা মুছে ফেলতে চেয়েছিল, তারাই ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে গেছে। পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের কাছে প্রেরণার উৎস স্বমহিমায় চিরভাস্বর বঙ্গবন্ধুর স্থান মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায়।”
বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীনতার দেড় দশকের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হত বলে মনে করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সে বছর দেশে ১০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল, জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ছিল ৯.৫৪ শতাংশ।”