কাজী হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগও দাবি করেছেন চরমোনাই পীরের ছেলে।
Published : 22 Jun 2023, 08:44 PM
ভোটের দিন আক্রান্ত হওয়ার পর মুফতি ফয়জুল করীমকে নিয়ে যে মন্তব্য সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল করেছিলেন, তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন এই মেয়র প্রার্থী।
সিইসির ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ওই মন্তব্যে নিজের মানহানি হয়েছে উল্লেখ করে তার জন্য ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগও তিনি দাবি করেছেন।
আগামী ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ না দেখলে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন মুফতি ফয়জুলের আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল বাসেত।
চরমোনাইয়ের বর্তমান পীরের ভাই ফয়জুল কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী ছিলেন।
গত ১২ জুন ভোটের দিন তার উপর হামলা হয়েছিল। তার প্রতিবাদে তার দল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়; সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকেও সরে যান হাতপাথা প্রতীকের প্রার্থীরা।
সেদিন সেই ঘটনা নিয়ে ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে সিইসি বলেছিলেন, “‘উনি (প্রার্থী) কি ইন্তেকাল করেছেন? … আমরা যতটা শুনেছি, ওনাকে কেউ পেছন দিক থেকে ঘুষি মেরেছে।”
বরিশালে ‘ঘুষিতে’ রক্তাক্ত হাতপাখার প্রার্থী
বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ‘আনন্দমুখর’ পরিবেশের ভোটে সিইসির সন্তুষ্টি
সেই বক্তব্য ধরেই বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে উকিল নোটিস পাঠান ফয়জুল করীম।
তার আইনজীবী বাসেত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সংবাদপত্রে আসা সিইসির বক্তব্য সম্বলিত খবরটি যুক্ত করেই নোটিসটি পাঠান হয়েছে।
তিনি বলেন, “জনাব মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সৈয়দ পরিবারের সন্তানই নন, তিনি একজন ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক, রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির। দেশ ও বিদেশে লাখ লাখ ভক্ত ও অনুসারী রয়েছে তার।
“সিইসির বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন, অযাচিত, কুরুচিপূর্ণ, অমানবিক ও বেআইনি এবং অনৈতিক। যার ফলে চরমোনাই পীরের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তার মর্যাদা ও সুনামের অবর্ণনীয় ক্ষতি হয়েছে। তার আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা। সেই জন্য আমরা লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছি।”
নোটিসে ক্ষতিপুরণ ছাড়াও সিইসির পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে নোটিসের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আইনি প্রতিকার চেয়ে রিট আবেদন করা হবে।