জাতীয়তাবাদী জনতা দলের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেওয়া রায়হানুল ইসলাম রাজু ওই অবস্থানের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
Published : 15 Nov 2023, 12:26 PM
পঞ্চম দফার অবরোধের সকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীর কার্যালয়ের সামনে কয়েকজন নেতা-কর্মী কিছু সময়ের জন্য অবস্থান নিলেও, পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়ে দুজনকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ করে ৫/৭ জন নেতাকর্মী কার্যালয়ের গেইটের ঠিক সামনে সড়কে দাঁড়িয়ে অবরোধের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে।
‘একদফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি’, ‘শেখ হাসিনা ভোট চোর, শেখ হাসিনা ভোট চোর’ স্লোগান দেন তারা। এক পর্যায় তারা বন্ধ কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বসে পড়েন।
জাতীয়তাবাদী জনতা দলের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেওয়া রায়হানুল ইসলাম রাজু ওই অবস্থানের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
অবরোধের সমর্থনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে রাজু সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের ভারপ্রাপ্ত দেশনায়ক তারেক রহমান একটি নির্দেশনা দিয়েছেন… যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ অবরোধ পালন করার জন্য। আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাজপথে থাকতে হবে। আজকে আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য পার্টি অফিসের সামনে অবস্থান করেছি।”
কার নির্দেশে তারা এখানে জড়ো হয়েছেন- এমন প্রশ্নে রাজু বলেছেন তারা ‘অধিকার আদায়ে’ নিজে থেকেই এসেছেন।
“গতকাল পত্রিকায় দেখলাম পার্টি অফিসে ঢুকতে বাধা নেই। সেজন্য আমরা এসেছি।”
এরপর কার্যালয়ের পাশের ভিক্টোরিয়া হোটেলের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যরা কার্যালয়ের কাছাকাছি এসে অবস্থানকারীদের দুই পাশ দিয়ে ঘিরে ফেলে।
রাজু তখন স্লোগানা দিতে শুরু করলে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। কিন্তু স্লোগান শেষে রাজুসহ কয়েকজনকে দ্রুত সেখান থেকে সরে পড়েন। বাকিদের মধ্যে দুইজনকে পুলিশ পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।
এরপর উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা কার্যালয়ের দুই পাশে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেন। তবে বিএনপি কার্যালয়ের পাশের ফুটপাত খুলে দেওয়া হয়েছে, সেখান দিয়ে পথচারীরা চলাচল করছে।
২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষের পর থেকেই নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেইট তালাবন্ধ। কার্যালয়ের দুই পাশের কাঁটাতারের ব্যারিকেড মঙ্গলবার সরিয়ে নেওয়া হলেও পুলিশের অবস্থান রয়েছে আগের মতই।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দেশব্যাপী সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ৪৮ ঘণ্টার এই নতুন কর্মসূচি বুধবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে, যা শেষ হবে শুক্রবার সকাল ৬টায়।
গত ২৮ অক্টোবর সংঘর্ষের মধ্যে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দিয়ে আসছে বিএনপি। তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র এবং সমমনা দল ও জোটগুলোও একই কর্মসূচি পালন করছে।