সর্বশেষ সরকারপ্রধান হিসেবে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়েছিলেন ফখরুদ্দীন আহমদ। তখনও দেশের ক্ষমতায় একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আর ফখরুদ্দীন সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
Published : 31 Mar 2025, 11:04 AM
প্রায় দেড় যুগ পর জাতীয় ঈদগাহের প্রধান জামাতে অংশ নিলেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান।
সোমবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে উপস্থিত হন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, সচিবসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এখানে ঈদের নামাজ পড়েন।
সকাল সাড়ে ৮টায় এ জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
নামাজ ও খুতবা শেষে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন মাইক হাতে নিয়ে ঘোষণা দেন, প্রধান উপদেষ্টা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন।
সবাইকে ঈদ মোবারক জানিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “ঈদ দূরত্ব ঘোচাবার দিন, নৈকট্যের দিন, ভালোবাসার দিন। আজকে সেই দিনটা আমরা যেন গভীর ভালোবাসার সঙ্গে উদযাপন করতে পারি, সেই মেসেজ যেন সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারি।”
তিনি বলেন, “আজকে একটা ঐক্য গড়ে তোলার দিন। আমরা স্থায়ীভাবে এই ঐক্য গড়ে তুলতে চাই, ঈদের জামাতে এটাই আমাদের কামনা।”
নামাজ শেষে উপস্থিত অনেকের সঙ্গে তিনি কুশল বিনিময় করেন। নামাজ পড়তে আসা অনেকের সঙ্গে করমর্দন করেন তিনি।
সর্বশেষ সরকারপ্রধান হিসেবে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়েছিলেন ফখরুদ্দীন আহমদ। তখনও দেশের ক্ষমতায় একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আর ফখরুদ্দীন সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
২০০৮ সালের ৯ ডিসেম্বর কোরবানির ঈদের সেই জামাতে তখনকার রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদও অংশ নিয়েছিলেন। তবে এবার ঈদগাহে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের সাক্ষাৎ হয়নি; রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঈদের নামাজ পড়েছেন বঙ্গভবনের মসজিদে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর টানা ১৫ বছর দেশ শাসন করেছেন শেখ হাসিনা। জাতীয় ঈদগাহে নারীদের নামাজের সুযোগ থাকলেও তিনি কখনো যাননি। মাঝে দুয়েকবার বিরতি ছাড়া ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতিরাই জাতীয় ঈদগাহের জামাতে অংশ নিয়েছেন।
গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থ্যানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এবার তার ঈদ সেখানেই কাটবে।