আচরণবিধি পরিপন্থি কার্যক্রমের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সশরীরে নির্বাচন কমিশনে হাজির হতে বলা হয়েছিল এই আওয়ামী লীগ নেতাকে।
Published : 15 Dec 2023, 04:41 PM
নির্বাচন কমিশনের তলবে হাজির হয়ে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে গেলেন ঝালকাঠি-২ আসনের নৌকার প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
ইসির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার বিকালে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আসেন আওয়ামী লীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতা। প্রায় ২০ মিনিট তিনি নির্বাচন ভবনের ৩১৪ নম্বর কক্ষে কাটান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তবে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান আমির হোসেন আমু। শুধু বলেন, “চা খেতে এসেছিলাম, চা খেয়ে চলে যাচ্ছি।”
গত ৮ ডিসেম্বর ছিল 'ঝালকাঠি জেলা পাকহানাদার মুক্ত দিবস'। সেই দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ঝালকাঠি-২ আসনের এ প্রার্থীকে তলব করেছিল ইসি। প্রচার শুরুর আগে এ ধরনের আচরণবিধি পরিপন্থি কার্যক্রমের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সশরীরে নির্বাচন কমিশনে হাজির হতে বলা হয়েছিল তাকে।
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের যে তফসিল নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, তাতে ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিন ঠিক করা হয়েছে। সেদিন থেকেই প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারবেন, যা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
গত শনিবার আমুকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, গত ৮ ডিসেম্বর নলছিটি উপজেলা পরিষদের হলরুমে বেলা ১১টায় এবং ওইদিন বিকেলে ঝালকাঠি পৌরসভার আরেকটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
অথচ জেলা প্রশাসক, ঝালকাঠি ও রিটার্নিং অফিসার আমুকে জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে তিনি যেহেতু আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী, ওই আলোচনা সভায় লোকসমাগম বেশি হলে সেটি জনসভায় পরিণত হতে পারে যা ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮'কে ভঙ্গ করে। এছাড়া নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন না হলেও এ ধরনের জনসমাগম গণমাধ্যমের কাছে বিভান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
“কিন্তু আপনি (আমু) ওই জনসভায় বক্তৃতা দিয়েছেন এবং আপনার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। এই ঘটনার ছবি এবং ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ ধরনের কাজ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর পরিপন্থি। আচরণ বিধিমালার বর্ণিত বিধান লঙ্ঘনের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯১ঙ অনুযায়ী প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে।"
১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমুকে পাঠানো নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে আরও বলা হয়, "দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আপনাকে আগে থেকে অবহিত করা সত্ত্বেও ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের ৩ সপ্তাহ আগে, নির্বাচনি প্রচারণাসহ আচরণবিধি পরিপন্থি কার্যক্রমের জন্য কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে ১৫ ডিসেম্বর দুপুর তিনটায় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে উল্লিখিত বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।"