সরকার ‘ফরমায়েশি’ রায় দিয়ে বিচার বিভাগকে ‘নিয়ন্ত্রণ করছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।
Published : 18 Aug 2023, 09:50 AM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের সাজার রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকার ‘ফরমায়েশি’ রায় দিয়ে বিচার বিভাগকে ‘নিয়ন্ত্রণ করছে’ বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, “দুই খ্যাতিমান সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় দেওয়া ফরমায়েশি রায়ে প্রমাণিত হয় যে, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করছে।”
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা জয়ের গোপন তথ্যের জন্য এফবিআইএর এক কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে আট বছর আগে প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলেকে সাজা দেয় নিউ ইয়র্কের একটি আদালত। ওই ঘটনায় ২০১৫ সালে ঢাকার পল্টন থানায় একটি মামলা করে পুলিশ, যার রায় হয়েছে বৃহস্পতিবার।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর এই রায়ে যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন।
জয়কে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’: শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানের ৭ বছরের সাজা
সেই সঙ্গে প্রবাসী সেই বিএনপি নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়াকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে।
এর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, “জনগণ এই ফরমায়েশি রায় প্রত্যাখান করেছে। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি তাদের সাজা বাতিলের জোর আহবান জানাচ্ছি।”
এ ধরনের মামলাকে ‘অলীক কাহিনী’ হিসেবে বর্ণনা করে বিএনপি মহাসচিবের বলেন, “যারা এক-এগারোর বিরুদ্ধে কথা বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেন, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাদেরকেই আওয়ামী সরকার টার্গেট করেছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “এ ধরনের সাজা প্রদানের ঘটনা অবৈধ আওয়ামী সরকারের গভীর নীলনকশারই অংশ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দুর্বিনীত অনাচার ও রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার বিরুদ্ধে জনগণ যখন রাজপথ কাঁপিয়ে তুলছে, তখন অবৈধ শাসকগোষ্ঠী দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামী অবৈধ সরকার স্বীয় উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
“তবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে দিয়ে আওয়ামী সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণ এখন দৃঢ় সংকল্প নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে। যত চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, জনগণ আর ভোটারবিহীন তামাশার নির্বাচন করতে দেবে না। আওয়ামী সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করবে জনগণ।”