জামায়াতে ইসলামীর ‘সংস্কারপন্থিরা’ দুই বছর আগে এই রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
Published : 17 Oct 2022, 07:47 PM
জামায়াতে ইসলামী থেকে বেরিয়ে আসাদের গড়া দল আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ভোটে লড়তে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন চাইছে।
নতুন এই দলের একদল প্রতিনিধি সোমবার দুপুরে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তাদের আবেদন জমা দেয়।
দলটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগকারী এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, যিনি একজন সাবেক সচিব। আর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু এ দলের সদস্য সচিব।
তারা দুজন নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, ইসির শর্তানুযায়ী দল নিবন্ধনের জন্য সব প্রামাণ্য দলিল তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগ্রহী রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের জন্য আবেদনের শেষ সময় ৩০ অক্টোবর।
নতুন দলের আবেদন পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে দলিলপত্র ও মাঠ পর্যায়ের তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ে আরও কয়েক মাস লাগবে। সবকিছু শেষ করে আগামী বছর জুনের নতুন দলের নিবন্ধন চূড়ান্ত করা পরিকেল্পনা রয়েছে ইসির।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর ‘সংস্কারপন্থিরা’ নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনের এক বছর পর ২০২০ সালে এবি পার্টি গঠনের ঘোষণা দেয়।
এবি পার্টির নিবন্ধনের ক্ষেত্রে তাদের দলের একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা/মহানগর থানায় প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত দলিল থাকার শর্ত পূরণ করতে হবে।
এবি পার্টি এক সংবাদি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে,তারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তালিকা, ২২টি জেলা কমিটি, ১০০টি উপজেলা কমিটি, ১০০টি উপজেলার ২২ হাজার নিবন্ধিত ভোটার সদস্যের তালিকা ইসিতে দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব আব্দুল হালিম খান জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য অন্তত ১৮টি নতুন দল আবেদন করেছে। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর নিবন্ধনের শর্তাবলী পূরণ করেছে কিনা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেবে ইসি।
২০০৮ সালে দল প্রথা নিবন্ধন চালু হলে ৩৯টি দল নিবন্ধন পায়। পরবর্তীকালে এ সংখ্যাটি ৪৪টিতে উন্নীত হয়।
কিন্তু শর্ত পূরণে ব্যর্থ এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন পরে বাতিল করা হয়।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গত অগাস্টে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামীর ভিন্ন নামে ইসিতে তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
যদি নতুন করে আবেদন করে একই মানুষ, কিন্তু ভিন্ন দল; তাহলে কি সুযোগ আছে-এমন প্রশ্নে আলমগীর বলেন, “একই মানুষ আসবে কি না, তা তো আর বলতে পারব না। যারা আবেদন করছেন, যদি দেখি যে ক্রাইটেরিয়া মেলে না, তাহলে তো দিতে পারব না।”