“রাজনীতিবিদরা চাইলেই আমলারা দুর্নীতিবাজ হতে পারে। রাজনীতিবিদরা চাইলেই ব্যবসায়ীরা রাজনীতিবিদ হয়ে দুর্নীতিবাজ হতে পারে”, বলেন তিনি।
Published : 26 Jun 2024, 06:30 PM
আমলাদের দুর্নীতির দায় রাজনীতিবিদদের বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের।
তিনি বলেছেন, “রাজনীতিবিদরাই দুর্নীতিকে সহায়তা করেছে। আমলাদের দুর্নীতি থেকে রাজনীতিবিদরাই মুনাফা নিয়েছে। দুর্নীতি রোধ করতে হলে রাজনীতিবিদদের টার্গেট করতে হবে।”
পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদ, এনবিআর থেকে সরিয়ে দেওয়া সদস্য মতিউর রহমানের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির সন্ধানের ঘটনায় তুমুল আলোচনার মধ্যে বুধবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বিরোধী দলীয় নেতা লেন, “রাজনীতিবিদদের হাতেই দেশের স্টিয়ারিং হুইল থাকে। রাজনীতিবিদরা যেদিকে দেশকে নিয়ে যাবেন, দেশ সে দিকেই যাবে।
“রাজনীতিবিদরা চাইলেই আমলারা দুর্নীতিবাজ হতে পারে। রাজনীতিবিদরা চাইলেই ব্যবসায়ীরা রাজনীতিবিদ হয়ে দুর্নীতিবাজ হতে পারে।”
এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে হলে রাজনীতিবিদদের দিকেই দৃষ্টি দিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কাউকেই আইনের ঊর্ধ্বে অবস্থান দেওয়া ঠিক না।
“আইনের শাসন অর্থ কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সরকারের দায়িত্ব ছিল এটা নিশ্চিত করা, যত ক্ষমতাধরই হোক সবাইকে আইনের আওতায় থাকতে হবে।
“কাউকেই আইনের ঊর্ধ্বে রাখা যাবে না। আইনের শাসন নিশ্চিত হলেই জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত হবে। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক রাষ্ট্রের জন্যই দেশের মানুষ জীবন দিয়েছিল। আমরা চাই সরকার দুর্নীতি রোধ করতে কাজ করবে, এটাই স্বাধীনতার চেতনা।”
‘ধুমধাম করে’ দুর্নীতিবাজদের ‘মুখোশ উন্মোচনের কাজ’ আগেও দেখেছেন জানিয়ে জি এম কাদের বলেছেন, “ক্যাসিনো নিয়ে যাদের ধরা হয়েছিল, তারা এখন বহাল তবিয়তে আছে। শেষ পর্যন্ত কী হবে তা আমরা জানি না।“
“সরকারি ক্ষমতা অপব্যবহার করে দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে” মন্তব্য করে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, “সরকার এত ক্ষমতাবান হয়ে গেছে, তারা জবাবদিহিতার স্তম্ভগুলো পাশ কাটিয়ে যেতে পারছে। জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই দেশে অর্থনৈতিক মন্দা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নিরাপত্তার অভাব হচ্ছে।”
দুদকের কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে সন্দেহ আছে দাবি করে তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি, দুদক সব সময় বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের দিকে বেশি দৃষ্টি দেয়। অনেক বড় রুই-কাতলা সরকারের সঙ্গে থাকছেন, সরকারের আনুকূল্য পাচ্ছেন, তাদের দিকে দুদকের দৃষ্টি কম। সাধারণ মানুষের ধারণা, দুদক ক্ষমতাসীনদের ধরে ধরে ক্লিন সার্টিফিকেট দেয়।”