শেখ হাসিনা ও তাদের মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের নামে বিভিন্নস্থানে থাকা নামফলক তুলে ফেলা এবং প্রতিষ্ঠানের নামকরণ পরিবর্তনের দাবি জানান অলি।
Published : 24 Mar 2025, 06:51 PM
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং গত বছরের গণঅভ্যুত্থানকে যারা এক কাতারে বিবেচনা করে তাদেরকে ‘পাগল’ বলে অভিহিত করলেন অলি আহমদ।
সোমবার দুপুরে মগবাজারে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির চেয়ারম্যান বলেন, “কিছু কিছু পাগল ৫ অগাস্টের ঘটনাকে একাত্তর সালের ঘটনার সাথে এক করতে চায়।
“পাগলদেরকে বলব, পাগলামি বন্ধ কর। লম্বা চুল থাকলেই শুধু মস্তিষ্ক উর্বর হয় এটা ঠিক না বা পাগড়ি লাগালেই যে মস্তিষ্ক উর্বর হয় এটা ঠিক না।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা অলি আহমদ বলেন, “১৯৭১ সালে ছিল একটা দেশের বিরুদ্ধে আরেকটা দেশের যুদ্ধ। আর এটা (জুলাই-অগাস্টের আন্দোলন) ছিল একটা মুভমেন্ট… সরকারকে উৎখাত করার একটা মুভমেন্ট।
“এই দুটা জিনিসকে একসাথে করা পাগলামির শামিল। এ পাগলামি বন্ধ করতে হবে। কোনো জিনিস খাটো করে দেখার নেই। প্রত্যেকটা জিনিস নিজ নিজ জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ। কোনোটার সাথে কোনোটা তুলনা করে কোনোটাকে হেয় প্রতিপন্ন করার দরকার নাই।”
অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশে এলডিপির প্রধান বলেন, “এলডিপির পক্ষ থেকে সরকারকে পরিপূর্ণভাবে আমরা সহায়তা করতে চাই।… অর্থব লোকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিলে অর্থব পরামর্শ পাবেন এবং ভুল পথে পরিচালিত হবেন।”
শেখ হাসিনা ও তাদের মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের নামে বিভিন্নস্থানে থাকা নামফলক তুলে ফেলা এবং প্রতিষ্ঠানের নামকরণ পরিবর্তনের দাবি জানান অলি।
তিনি বলেন, “আমরাই সর্বপ্রথম বলেছি, আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করতে হবে। অনেকে বিভিন্ন খোঁড়া অজুহাত দেখায়। পৃথিবীতে অনেক নজির আছে যারা গণহত্যাকারী তারা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে পারবে না। আওয়ামী লীগ গণহত্যাকারী একটা দল… তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।”
এলডিপি প্রধান বলেন, “এখনো অনেক অফিসে শেখ মুজিবের ছবি টাঙানো আছে। আমি সরকার প্রধানকে অনুরোধ করব অফিস থেকে শেখ মুজিবের ছবি অনতিবিলম্বে সরিয়ে নেওয়া হোক। কারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, কেউ কেউ মনে করছে সরকারের মধ্যে আওয়ামী লীগের দালাল রয়েছে। তা না হলে শেখের ফটো এখনো কেন থাকবে। শেখের নাম বিভিন্ন জায়গায় কেন থাকবে, হাসিনার নাম কেন থাকবে, শেখ পরিবারের নাম কেন থাকবে।”
৮ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত মুদ্রা কেন পরিবর্তন করা গেল না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধের দাবিও জানান অলি আহমদ।
মাঠ পর্যায়ে সরকারের কৃচ্ছতা সাধনের পরামর্শের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যানজট, স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নেয়ামূল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, কে কিউ সাকলায়েন, ওমর ফারুক, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. মাহবুবুর ও যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি উপস্থিত ছিলেন।