আমাদের ভাষাভিত্তিক জাতীয়তা বনাম আগ্রাসী মৌলবাদ

ঈমান এতই ঠুনকো যে কয়েকটা মুখোশ দেখে তা ভেঙে যাবে? এই উদ্ভট কথাটা যুক্তি নয়, কুযুক্তি। গণেশের বাহন ইঁদুর এবং সাপ ইঁদুর খায়, তাই সাপ ‘হিন্দু বিরোধী’ বলার মতোই কুযুক্তি। দুনিয়ার সব রাজহাঁস সরস্বতীর বাহন নয়। ময়ূর মাত্রই কার্তিকের বাহন নয়। সব প্যাঁচাও লক্ষ্মীর বাহন নয়। ওগুলোকে টেনে হিঁচড়ে হিন্দুধর্মের সঙ্গে জুড়ে দেয়াটা প্রমাণ করে, ইবলিশকে যে অধিকার দেয়া হয়েছিল মানুষকে পথভ্রষ্ট করার তাতে সে কিছুটা হলেও সফল হয়েছে।

হাসান মাহমুদহাসান মাহমুদ
Published : 20 April 2023, 12:47 PM
Updated : 20 April 2023, 12:47 PM

জীবনে দুর্ঘটনা বলে কিছু নেই। যা ঘটেছে তা এজন্যই ঘটেছে যে কার্যকারণ সমীকরণ মোতাবেক সেটা ছাড়া আর কিছুই ঘটতে পারত না। কয়েক দশক আগে গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম দেশগুলো যাত্রা শুরু করেছিল ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে, যেমন জিন্নাহর পাকিস্তান, নাসেরের মিশর, মোসাদ্দেকের ইরান, সুকর্ণর ইন্দোনেশিয়া, পরে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। তুরস্ক তো ১০০ বছর আগে থেকেই ধর্মনিরপেক্ষ। কিন্তু এখন ওই সব দেশের প্রত্যেকটিতে ধর্মনিরপেক্ষতাবিরোধী শারীয়াপন্থীরা শক্তিশালী। এ বিবর্তনের কারণগুলো বাংলাদেশেও বিদ্যমান, বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও সেদিকে এগিয়েছে বলে PEW রিসার্চ ইত্যাদি থেকে জানা যায়। তাঁদের ‘ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’র যুদ্ধে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনেকগুলো ফ্রন্টের একটা।

তাঁদের দাবি ‘মঙ্গল’ শব্দটা এবং শোভাযাত্রার কিছু মুখোশ হিন্দুয়ানী, কাজেই ওগুলোর ব্যবহার আমাদেরকে ‘ইসলাম-ভ্রষ্ট করার সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র’। এগুলো তাঁরা কোন গবেষণায় পেয়েছেন এবং মুখোশের কারণে কয়জন মুসলিম ইসলাম-ভ্রষ্ট হয়েছে এগুলো সবাইকে জানানো তাঁদের নাগরিক কর্তব্য। প্রমাণ পেলে সরকারও পদক্ষেপ নেবে নিশ্চয়ই, আমরাও ঐক্যবদ্ধভাবে সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করব। তাঁরা প্রমাণ দিতে না পারলে প্রমাণ হবে তাঁরা আমাদের সংস্কৃতি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছেন, যা অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনা দরকার।

মুখোশ-বিরোধী পক্ষের কাউকে কখনো একুশের বা নববর্ষের মিছিলে দেখেছেন? শোভাযাত্রার আয়োজকেরা আগামী বছর শোভাযাত্রায় মুখোশ ব্যবহার করবেন না ঘোষণা দিয়ে দেখতে পারেন, মুখোশবিহীন শোভাযাত্রায় তাঁরা যোগ দেন কিনা। এতে প্রমাণ হয়ে যাবে আসলে তাঁদের গাত্রদাহ প্রাণী-চেহারার মুখোশের বিষয়ে, নাকি অন্য কিছু? মুখোশের ‘যুক্তি’টা আসলে বাহানা, যা তাঁদের করতে হয় অন্য উদ্দেশ্যে। সেটা কি?

১. ‘ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত আমাদের শাহাদা পড়া সম্পূর্ণ হইবে না’; (অর্থাৎ উনাদের মুসলমানিত্ব অসম্পূর্ণ থাকবে)– (‘উইটনেস টু ম্যানকাইন্ড’ পৃষ্ঠা ৩২, মওলানা মওদুদী)। মুখোশ-বিরোধীরা মওদুদীপন্থী হন বা না হন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং সে পথে যে কোনো বাধাকে যে কোনো উপায়ে পরাজিত করা তাঁদের জীবনের অন্যতম উদ্দেশ্য। যেন ‘মারি অরি পারি যে কৌশলে’– (মেঘনাদবধ কাব্য)।

২. সে পথে তাঁদের সর্বপ্রধান বাধা বাংলাদেশের জন্মের উৎস আমাদের ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ, যার শেকড় বাহান্নোর ভাষা আন্দোলন। সেই বাধাকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে ইসলামকে আমাদের ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে। ব্রিটিশের পলিসি ছিল– ‘গিভ দ্য ডগ এ ব্যাড নেম অ্যান্ড হ্যাং হিম’ (একটা বদনাম রটিয়ে কুত্তাটাকে ফাঁসি দিয়ে দাও)। দেশে চিৎকার শোনা যায় একুশের ভোরে খালি পায়ে শহীদ মিনারে যাওয়া, ফুল দেয়া এগুলো নাকি শির্ক। দাবিটা কেন মতলবি তা এই মতামত বিভাগে ২৫ মার্চ ২০১৮ তারিখে প্রকাশিত ‘২১শে, ২৬শে, ১৬ই উদযাপন কি শির্ক’? নিবন্ধে বিস্তারিত আছে। একুশকে বদনাম করার জন্য গোলাম আজম বলেছিলেন বাহান্নোর ভাষা আন্দোলন ছিল ‘মারাত্মক ভুল’ (দৈনিক আজাদ, ২০ জুন ১৯৭০)।

৩. আঘাত হানা হলো আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের ওপরেও। লক্ষ লক্ষ মা-বোনের লুণ্ঠিত সম্ভ্রম এবং লক্ষ লক্ষ নিরপরাধের মৃত্যুর আর্তনাদ মেশানো ওই রক্তস্নাত দিনগুলো উদযাপন করা যাবে না, করলে নাকি জাহান্নামে যেতে হবে। কারণ জন্মদিনসহ যে কোনো ‘দিন’ পালন করা নাকি ‘বেদাত’, ইসলামে নতুন কিছু যোগ করার সামিল।

৪. কেতাব লিখেও আমাদের ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে ‘ইসলাম বিরোধী’ প্রমাণের ষড়যন্ত্র হয়েছে। যেমন –

(ক) ‘ভাষাভিত্তিক ও সাংস্কৃতিক জাহেলিয়াতের পরিণতি’, লেখক ভারতের আলেম সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদবী, অনুবাদ আবদুল মান্নান তালিব, প্রকাশক সিন্দাবাদ প্রকাশনী, ২ কাজী আলাউদ্দীন রোড, ঢাকা। এ বইতে তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন একাত্তরে নাকি আমাদের ‘ভাষা-পূজা’ ইসলামের তৌহিদকে পরাজিত করেছে– পৃষ্ঠা ৯। আলেম বটে!

(খ) মওদুদী লিখেছেন ইসলামী জাতীয়তাবাদ ছাড়া বাকি সব জাতীয়তাবাদের ভিত্তি হলো প্রধানত: বংশ, স্বদেশ, ভাষা, বর্ণ, অর্থনৈতিক স্বার্থ ও শাসন ব্যবস্থার ঐক্য। এই ভিত্তিগুলো নাকি– ‘গোটা মনুষ্যজাতির পক্ষে এক কঠিন ও মারাত্মক বিপদের উৎস হয়ে রয়েছে, তাও কেউ অস্বীকার করতে পারে না’– "ইসলাম ও জাতীয়তাবাদ", মওলানা মওদুদী, পৃষ্ঠা ১০ ও ১১। (মওদুদীকে বলতে চাই, ‘অবশ্যই অস্বীকার করতে পারি এবং করছি, মওলানা!’)

অর্থাৎ আমাদের বাংলা ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদটা ‘গোটা মনুষ্যজাতির পক্ষে কঠিন ও মারাত্মক বিপদের উৎস’, তাই সেটাকে ধ্বংস করে ‘গোটা মনুষ্যজাতি’কে এই ‘কঠিন ও মারাত্মক বিপদ’ থেকে রক্ষা করাটা তাঁদের ‘ঈমানী দায়িত্ব’।

৫. যেহেতু ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত তাঁদের মুসলমানিত্ব অসম্পূর্ণ, তাই এ উদ্দেশ্যে তাঁরা যা কিছু দরকার তাই করবেন। এজন্য তাঁরা মিথ্যা বলাকেও শুধু উৎসাহিতই নয় বরং বাধ্যতামূলক করেছেন। কাজেই তাঁদের মন-মগজে কি ঘুরছে তা তাঁদের মুখের কথা থেকে নিশ্চিত হওয়া অসম্ভব। শারিয়া আইনে আছে : ‘উদ্দেশ্য বাধ্যতামূলক হইলে সে উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলা বাধ্যতামূলক’– আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা সত্যায়িত শারিয়া কেতাব ‘উমদাত আল সালিক’ আইন নং r.8.2। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ‘তাকিয়া’ পদ্ধতিতেও তিন ক্ষেত্রে মিথ্যা বলাকে ইসলামের নামে বৈধ করা আছে। দুনিয়ায় বোধ হয় একমাত্র এই লোকদের ‘ধর্ম’টাই মিথ্যাকে উৎসাহিত করেছে। শোভাযাত্রার বিরোধিতা উচ্চারিত হয় তাঁদের এই কোরান-বিরোধী কণ্ঠেই, কারণ কোরানের নির্দেশ : ‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত করো না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করো না’– (সুরা বাকারা ৪২)।

তাঁরা জাতিকে কি মনে করেন? জাতির ইসলামী ঈমান এতই ঠুনকো যে কয়েকটা মুখোশ দেখেই তা ভেঙে যাবে? এই উদ্ভট কথাটা যুক্তি নয়, কুযুক্তি। গণেশের বাহন ইঁদুর এবং সাপ ইঁদুর খায়, তাই সাপ ‘হিন্দু বিরোধী’ বলার মতোই কুযুক্তি। তাঁরা অবশ্যই জানেন যে ওই প্রাণীদের অস্তিত্ব হিন্দু ধর্মের বাইরেও ব্যাপক। দুনিয়ার সব রাজহাঁস সরস্বতীর বাহন নয়, সব ময়ূর কার্তিকের বাহন নয়, সব প্যাঁচা লক্ষ্মীর বাহন নয়। ওগুলোকে টেনে হিঁচড়ে হিন্দুধর্মের সঙ্গে জুড়ে দেয়াটা প্রমাণ করে, ইবলিশকে যে অধিকার দেয়া হয়েছিল মানুষকে পথভ্রষ্ট করার তাতে সে কিছুটা হলেও সফল হয়েছে (সুরা বনি ইসরাইল আয়াত ৬৪)। আরো প্রমাণ করে উম্মতের জন্য নবীজীর (স.) ‘সর্বাপেক্ষা গভীর উদ্বেগ’ কি ছিল এবং কেন ছিল: ‘উম্মতের জন্য আমার সর্বাপেক্ষা গভীর উদ্বেগ পথভ্রষ্টকারী আলেমদের লইয়া’– (সুনান ইবনে মাজাহ ৫ম খণ্ড হাদিস ৩৯৫২)।

এই পথভ্রষ্টকারী আলেমরা আমাদের সমাজেই লুকিয়ে আছে তা তাঁরাও জানেন বৈকি– ‘রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন যে, শেষ যামানায় (কিছু সংখ্যক) মুর্খ ইবাদাতকারী এবং ফাসেক আলেম বের হবে।’ এ সম্পর্কে হযরত মুজাদ্দেদ আলফে সানী মাকতুবাত গ্রন্থে লিখেছেন যে, ‘জনৈক বুজুর্গ ব্যক্তি একবার অভিশপ্ত ইবলিশকে দেখতে পায় যে, সে একেবারে খোশ মেজাজে বেকার বসে আছে। ওই বুজুর্গ ব্যক্তি ইবলিশকে তার এ হেন বেকার বসে থাকার কারণ জিজ্ঞেস করলে প্রত্যুত্তরে সে বলে যে, বর্তমান সময়ের আলেম সমাজ আমাদের কাজ সমাধা করছে, জনগণকে পথভ্রষ্ট করার জন্য তারাই যথেষ্ট’– (‘আলেম-ওলামাদের সম্মান ও মর্যাদা’ (অংশ বিশেষ) এইচ. এম. মুশফিকুর রহমান, উপসম্পাদকীয় দৈনিক সংগ্রাম ০৩ জুন ২০১৩)।

এটাই তো স্বাভাবিক যে এদেশে জন্মে যাঁরা আমাদের নৃতাত্ত্বিক শেকড়কে অস্বীকার করেন তাঁরা আমাদের ভাষাভিত্তিক জাতীয়বাদকে আঘাত করবেন! এটাই তো স্বাভাবিক যে যারা তাঁদেরকে ‘মিসকিন’ বলে অপমান করে তাদেরই পরিচয়ে তাঁরা গর্বিত হবার অপচেষ্টা চালাবেন! প্রমাণ এখানে–

ক. ‘বাংলাদেশী জনগণ মূলত: সেমিটিক-দ্রাবিড়। সেমেটিকদের আদিনিবাস আরব ভূখণ্ড থেকেই তারা এসেছে। সুতরাং এই মানবগোষ্ঠী যদি নৃতাত্ত্বিক পণ্ডিতদের মতেই দ্রাবিড় হয়, আর দ্রাবিড় যদি আরব হয় তদুপরি আরব যদি সেমেটিক হয়, তবে এ অঞ্চলের জনগণ যে সেমেটিক আরবগোষ্ঠীরই অধ:স্তন পুরুষ তাতে আর সন্দেহ কি? ... খোদ বাংলা শব্দটি আরবি শব্দমালার পরিবর্তিত রূপ’– (দৈনিক ইনকিলাব, ১২ নভেম্বর ২০০৭, সম্পাদকীয় ‘ইসলামী দল নিষিদ্ধের বায়না ও যুদ্ধাপরাধী প্রসঙ্গ’ থেকে অংশবিশেষ)।

খ. ‘নুহ (আ:)- এর এক পুত্র হাম এশিয়া অঞ্চলে বংশবৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করেন। হামের পুত্র হিন্দ-এর নামানুসারে "হিন্দুস্তান", সিন্দ-এর নামানুসারে "সিন্দুস্থান" বা "সিন্ধু" এবং হিন্দ-এর পুত্র বঙ্গ-এর নামানুসারে “বঙ্গদেশ”।.... তাহলে বলতে আর বাধা নেই নুহ (আ:)-এর পুত্র বা নাতির নামানুসারে বঙ্গ বা বাংলাদেশ’– (ইনকিলাব ২৫শে জুন ২০০৮ তারিখে ফিচার পৃষ্ঠায় প্রকাশিত নিবন্ধ– ‘বাংলার ইতিহাসের পটভুমি’-র অংশ বিশেষ)

নৃতাত্ত্বিকেরা বিস্তর গবেষণায় বিভিন্ন কথা বলেছেন যেমন প্রাক-দ্রাবিড় গোষ্ঠীর লোকরাই বাংলার প্রকৃত আদিবাসী ইত্যাদি, সৈয়দ শামসুল হক তাঁর 'আমার পরিচয়' কবিতায় আমাদের নৃতাত্ত্বির রূপরেখা তুলে ধরেছেন, ইত্যাদি। কিন্তু ধর্মবিশ্বাস থেকে নৃতত্ত্ব তুলে আনা? অভিনব বটে!

সংস্কৃতি বিবর্তিত হয়। এক সময় নববর্ষে হালখাতা ইত্যাদি ছিল কিন্তু কোনো মিছিল-শোভাযাত্রা ছিল না। পরে মিছিল এল, নামহীন মিছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ হয়েছে, সেটাই পরে হয়েছে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’, নামটা হয়তো আবারও বদলাবে। এক সময় শোভাযাত্রায় মুখোশ ছিলো না, হয়তো অন্য এক সময় থাকবেও না। এ নিয়ে এতো হৈ হৈ করে ‘ইসলাম গেল গেল’ এই উদ্বাহু নৃত্য করার কি আছে?

আমাদের ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের বিরোধী ও কোরানের বিরোধী এই অপশক্তির কি করা উচিত তাহলে? তাঁরা কবি লুৎফর রহমান রিটনের বন্ধুসুলভ নিরীহ পরামর্শটা একবার ভেবে দেখতে পারেন–‘সমস্যা যদি হয় বৈশাখী মঙ্গলে,/ তুমি চলে যেতে পারো প্রিয় কোনো জঙ্গলে।/ তুমি চলে যেতে পারো দূর মরু সাহারায়,/ বাঙালি রইলো তার সংস্কৃতি পাহারায়।/ সংস্কৃতিসনে তুমি মিশিও না ধর্ম,/ মেশাতে চাইলে সেটা হবে অপকর্ম।/ ধর্ম ও সংস্কৃতি চিরকালই ভিন্ন, / সভ্যতা-ইতিহাসে তারই দ্যুতি-চিহ্ন।/ (না মানুক অন্ধরা না জানুক উকিলে,/ বসন্ত আসিবেই ডাকিবেই কোকিলে...)/ বাংলা ও বাঙালির আনন্দ হর্ষ/ বৈশাখ সমাগত শুভ নববর্ষ…।’