Published : 03 Sep 2021, 07:00 PM
'যত লিখে যাই তবু না ফুরায় চিঠি তো হয় না শেষ'– জগন্নময় মিত্রের কালজয়ী গানের এই পংক্তিগুলো আমার মনে পড়ে আমাদের দেশের দু-একজন রাজনৈতিক নেতার বক্তৃতা শুনে। সামান্য বদলে বলতে ইচ্ছা হয়, 'যত বলে যাই তবু না ফুরায় কথা তো হয় না শেষ! নেতাদের মনে যে কত কথা জমা আছে তা হয়তো কেবল সৃষ্টিকর্তাই জানেন। লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া একটি আবেগময় গানের কলিও মনে পড়ে, 'কত যে কথা ছিল, কত ছিল গান, কত যে বেদনার না বলা অভিমান!' রাজনৈতিক নেতারাও না বলা বেদনার কথা না বললেও নিজের ঘরের দুয়ার খোলা রেখে অপরের ঘরে হাওয়া-বাতাস ঢোকা নিয়ে কথার ফুলঝুরি ছোটান। সব নেতাই এমন তা নয়। সবাই কথা বেশি বলেন তা নয়। তবে বাকপটু নেতা সব দেশে সবসময়ই ছিলেন। কারো কথা শুনে ভালো লাগে, আবার কারো কথায় বিরক্তির উদ্রেক হয়।
আমাদের দেশে এখন চলছে কথামালার রাজনীতি। মিছিল-মিটিং, হরতাল-ধর্মঘট নেই। আছে কথার লড়াই, পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পর। সম্প্রতি দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যেও চলছে কথার আক্রমণ। আজ এ দল যা বলছে কাল বি দল বলছে তার পাল্টা কথা। তবে ক্ষমতায় থাকার দল আর ক্ষমতার বাইরে থাকার দলের কথার ঝাঁঝ এক রকমের হয় না। তবে আমাদের দেশে কথার লড়াইয়ে সবাই এগিয়ে থাকতে চায়। যারা কথা বলেন, তাদের বলার ধরন 'একচোখা'। নিজের দলের দিকে নজর কম, অন্য দলের দিকে প্রখর দৃষ্টি। রাজনীতির অন্দর মহল পরিচ্ছন্ন না হলে বহিরাঙ্গের কালিমা দূর হবে না।
দুই
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রায় প্রতিদিন প্রেসব্রিফিং করেন অথবা কোনো না কোনো অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত হয়ে অথবা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কথা বলেন। তার বক্তৃতা গণমাধ্যমে না থাকলে কি সেদিন পাঠকরা খুব অস্বস্তি বোধ করেন? জানি না, ওবায়দুল কাদেরকে কেন প্রতিদিন কথা বলতে হয় এবং তিনি প্রতিদিন কথা না বললে সরকার বা দলের কী ক্ষতি হয়? আওয়ামী লীগে তার আগে যারা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তারা কি প্রতিদিন বক্তৃতা দিয়ে নিজের উপস্থিতির কথা জানান দিতেন। একজন মানুষের সঙ্গে আরেকজন মানুষের মিলের চেয়ে অমিলই বেশি থাকে। ওবায়দুল কাদেরও তাই অন্য কারো মতো নন। তিনি নিজের মতোই। কে কী মনে করে সেদিকে না তাকিয়ে তিনি কথা বলেন, নিজের কাজে তার নিষ্ঠার প্রমাণ রাখেন। তার বাচনভঙ্গিও অন্যদের থেকে আলাদা। বেশ কায়দা করে, একটু যেন চিবিয়ে চিবিয়ে বেছে বেছে শব্দ উচ্চারণ করেন। তার এই বাচনভঙ্গি আমার মন্দ লাগে না।
এখন প্রশ্ন হলো, কি বলেন ওবায়দুল কাদের? অনেক কথাই তিনি বলেন, তবে তার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় বিএনপি। বিএনপি দেশের একটি অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল। এই দলের জন্ম কীভাবে হয়েছে সেটা প্রায় সবারই জানা। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এই দলের প্রতিষ্ঠাতা। জিয়ার পর বিএনপি নামক দলটির অস্তিত্ব থাকবে না বলে যারা ভবিষ্যৎবাণী উচ্চারণ করতেন তারা ভুল প্রমাণিত হয়েছেন। জিয়ার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার হাত ধরে বিএনপি টিকে আছে এবং বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শরিক থেকে রাজনীতিতে খালেদা জিয়া নিজস্ব ইমেজও গড়তে সক্ষম হয়েছিলেন। তার সমর্থকদের কাছে তিনি 'আপসহীন' নেত্রী হিসেবে প্রশংসিত। তবে নীতির প্রশ্নে অনমনীয় এবং কৌশলে কিছুটা নমনীয়তা রাজনীতির একটি চিরায়ত বৈশিষ্ট্য হিসেবেই স্বীকৃত। কিন্তু খালেদা জিয়া উল্টো ধারায় চলেও তার নেতৃত্বে বিএনপি দুবার ভোটে জিতে সরকার গঠনে সক্ষম হয়েছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে বিএনপির সময় ভালো যাচ্ছে না। সবার দিন তো সব সময় এক রকম যায় না। বিএনপির সংকটকাল আর কতটা দীর্ঘ হবে, অসুস্থ খালেদা জিয়ার পরিবর্তে তার পুত্র তারেক রহমান বিএনপির মরা গাঙে আবার বান আনতে পারবে কি না, তা কে নিশ্চিত করে বলতে পারে?
একসময় বিএনপি নেতারা বড়াই করে বলতেন আওয়ামী লীগ আর কোনোদিন ক্ষমতায় যেতে পারবে না। কিন্তু তাদের সে বড়াই চূর্ণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরেছে এবং টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার রেকর্ডও আওয়ামী লীগই গড়েছে। রাজনীতির কৌশলের খেলায় বিএনপিকে আওয়ামী লীগ এমন ধরাশায়ী করেছে যে, দলটি আর কোমর সোজা করে দাঁড়াতেও পারছে না। সন্ত্রাস-সহিংসতাকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে গ্রহণ করে এবং পাকিস্তানপ্রেমী সাম্প্রদায়িক দলগুলোর সঙ্গে গাঁটছড়া বেধে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিএনপি সাময়িক কিছু সুবিধা পেলেও এখন ধুকছে দুরারোগ্য ব্যাধিতে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখন মিডিয়া সর্বস্ব দল। বিএনপির আন্দোলন এখন কথানির্ভর। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি এমন তাচ্ছিল্যের মনোভাব না থাকলেই ভালো। পঁচা শামুকেও পা কাটে বলে একটা কথা চালু আছে। কিন্তু সাধারণ বিবেচনায় যা ভালো রাজনীবিদরা হয়তো তাই এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন।
তিন
দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ আছে গত বছরের মার্চ মাস থেকে। করোনাভাইরোসের কারণে পৃথিবীর আর কোনো দেশে এভাবে দীর্ঘসময় টানা বন্ধ রাখার নজির নেই। আমরা অবশ্য সব ক্ষেত্রেই নজিরবিহীন কাজ করতে পছন্দ করি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের পক্ষ থেকে জোরালো হয়ে উঠছে। দেড় বছরের বেশি সময় থেকে পাঠকক্ষের বাইরে থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠবিমুখতার সঙ্গে অন্য শারীরিক-মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। দেশে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের হার গত কিছুদিনে কমের দিকে। এটা কতদিন থাকবে তাই দেখার বিষয়। টিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে সংগৃহীত না হলেও পাওয়া যাচ্ছে। টিকাদান কর্মসূচিও চলছে। এই অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধাপে ধাপে খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে একটি গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতা তৈরির ষড়যন্ত্র করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ২৭ অগাস্ট ছাত্রলীগের এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন কথাও বলেন যে, শেখ হাসিনার সরকার হটানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে কেউ কেউ। তিনি কোনো দল বা গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ না করে আফগানিস্তানে তালেবান জয়ী হওয়ায় বাংলাদেশে উল্লসিতদের কথা বলেছেন। ওবায়দুল কাদেরের বক্তৃতার পরের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল একটি মিছিল বের করলে ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া দিয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। বিএনপি বা তার মিত্র্ররা সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলনের প্রস্তুতি বা পরিকল্পনা করছে কিনা তার কোনো আলামত সেভাবে লক্ষ করা যায় না।
একদিকে ওবায়দুল কাদের সরকার হটানোর ষড়য়ন্ত্রের কথা বলছেন, আবার ৩০ অগাস্ট প্রেসব্রিফিংয়ে বলেছেন, বিএনপির জোট আন্দোলন নয়, বরং জনগণের ভোগান্তি বাড়াতে পারে। শীত গ্রীষ্ম পেরিয়ে এখন শরতে এসে সরকার হটানোর দিবাস্বপ্ন আবারও দেখছে। কিন্তু আন্দোলনের এখন কোনো অবজেকটিভ কন্ডিশন বিরাজমান নেই, তাদের সাবজেকটিভ কন্ডিশন কী আছে তা তো গত এক যুগ ধরে মানুষ দেখছে।
বিএনপি সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন, তারা কোনো আইন মানতে চায় না। তারা চায় সহিংসতা, সংঘাতের মাধ্যমে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা তারা সেদিনও (১৬ অগাস্ট, চন্দ্রিমা উদ্যানে) করেছিল। কর্মসূচিতে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য যুক্ত হলে জনস্বার্থে পদক্ষেপ নিতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করে, এমনকি মেট্রোরেলের গাড়ি পর্যন্ত তারা ভাঙচুর করেছে।
সরকারি দলের দুই নম্বর গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী ব্যক্তির কথামালা সাজালে একজন মনোযোগী পাঠক কি উপসংহারে পৌঁছবেন? সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে? কারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত তার কোনো তথ্য কি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের কাছে আছে? নাকি আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ছেন এটা ভেবে যে লাগলে ভালো, না লাগলেও ক্ষতি নেই। হাওয়াই কথা বলা বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের একটি বিশেষ গুণ। ওবায়দুল কাদেরের মতে, বিএনপির আন্দোলন করার সামর্থ্য নেই, দেশে আন্দোলনের পরিবেশও নেই। তাই যদি সত্য হয়, তাহলে বিএনপিকে নিয়ে অহেতুক এত কথা কেন? আশঙ্কার কথা বলে মানুষের মনে উদ্বেগ বাড়িয়ে কী লাভ? এমনিতেই তো মানুষের উদ্বেগের শেষ নেই। মানুষের জীবনে একটার পর একটা বিপদ আসছে। করোনার ভীতি দূর হওয়ার আগেই ভয় দেখাচ্ছে ডেঙ্গু। ঢাকা শহরেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হলেও ঢাকার খবরই তো সারাদেশে অধিক ছড়ায় এবং দেশব্যাপী উৎকণ্ঠা বাড়ায়। এরমধ্যে আবার বন্যার পায়ের আওয়াজও কয়েকটি জেলায় শোনা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও নদী ভাঙনেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ। বসতবাটি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, আবাদি জমি চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে। দেখতে দেখতে সর্বশান্ত হয়ে পড়ছে কত পরিবার। মানুষের নিঃস্ব হওয়ার কত প্রক্রিয়াই না ক্রিয়াশীল আছে। কম স্বস্তি, বেশি কষ্ট– এমন ধারায় বাধা পড়েছে মানুষের জীবন। এই অবস্থায় রাজনীতির আকাশে কালোমেঘ ঘণীভূত না হলেই ভালো।
চার
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির হাড়ির খবরের তত্ত্বতালাশ কমিয়ে চোখকান খোলা রেখে অন্যদিকেও একটু মনোযোগ দিলে ভালো হবে বলে তার গুণমুগ্ধরাও মনে করেন। বিশেষ করে নিজের দলের ভেতরেও কি চলছে তা বুঝি তার দেখা উচিত একটু গুরুত্ব দিয়েই। নিজের ছোট ভাই কাদের মির্জা গত প্রায় এক বছর ধরে যা সব করছেন, যেসব কথা বলছেন তা আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের জন্য ক্ষতিকর হলেও কাদের মির্জাকে থামানোর কোনো উদ্যোগ– চেষ্টা বা গরজ বড় ভাইয়ের মধ্যে দেখা যায় না। এটা যে ভালো লক্ষণ নয়, তা অনেকেই বলছেন। টানা ক্ষমতায় থাকলে ক্ষমতাসীন দলে নানা খারাপ ব্যাধি-উপসর্গ দেখা যায়। আওয়ামী লীগও ব্যাধিমুক্ত নয় করোনাভাইরাসের মতো সংহাররূপে ভাইরাস আওয়ামী লীগের মধ্যে হয়তো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি তবে 'কাউয়া, হাইব্রিড' নিয়ে কথা তো ওবায়দুল কাদেরও কম বলেননি।
গত ২১ অগাস্ট বিকেলে নোয়াখালীতে এক সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীও কিছুটা দুষেছেন এই বলে 'যে সমস্যার সৃষ্টি হইছে, ভবিষ্যৎ কিন্তু ভালো নয়। আমি ওবায়দুল কাদের সাহেবকে অনুরোধ করব, প্রতিদিন প্রেস ব্রিফিং করেন, বিএনপিকে দোষারোপ করে প্রতিদিন প্রেস ব্রিফিং করা খেমা দেন (বন্ধ করেন)। নিজের দলটাকে আগে ঠিক করেন। প্রত্যেক জেলা থেকে ২০ জন করে যদি আপনি ডাকেন, আমাদের নোয়াখালী থেকে ২০ জনকে নেন, ওই এক দিনই একটা সমাধান করে দিতে পারেন। কিন্তু আপনি বসে তামাশা দেখতেছেন'।
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের কোন্দল প্রসঙ্গে খায়রুল আনম চৌধুরী বলেন, 'শুধু জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ দিয়ে সত্য টিকে থাকবে না। সত্য টিকাতে হলে যারা আজকে ভুল বুঝে আছে অথবা আমরা ভুল বুঝে আছি, সবাইকে নিয়ে বসতে হবে। কাদের ভাই, আপনি ডেইলি প্রেস ব্রিফিং করেন, আপনি কি একটা দিনও নোয়াখালীর খবর রেখেছেন? কেন নোয়াখালীতে তিন গ্রুপ? ১৫ অগাস্ট তিন গ্রুপ হয়? ২১ আগস্টে তিন গ্রুপ হয়? খবর রেখেছেন? রাখেননি।'
নিজ দলের খবর না রাখা কোনো ভালো কথা নয়। ওবায়দুল কাদের রাজনীতির মানুষ। দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কথা শোনার চেষ্টা তার থাকা উচিত। আবার বিএনপি নেতাদেরও উচিত কেবল সরকারের দোষ-ত্রুটি না খুঁজে নিজেদের বিষয়েও কিছু বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন করা। কেন জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও দলটি ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। কেন সরকার পতনের ডাক দিলে মানুষের সাড়া পাওয়া যায় না, তার কারণ বিশ্লেষণ করে কিছু নতুন পরিকল্পনা, উদ্যোগ, কৌশলের কথা ভাবা উচিত। আওয়ামী লীগের পায়ের নিচে মাটি নেই– এই আত্মতৃপ্তিতে মশগুল থাকার চেয়ে বিএনপির পায়ের নিচে কতটুকু শক্ত মাটি আছে তার হিসাবটাও বুঝে নেওয়া দরকার।