সংস্কৃত ভাষা শুধু ব্রাহ্মণদের জন্য সংরক্ষণ করার কারণে যেমন প্রাকৃত একটি ভাষার জন্ম হয়েছিল, তেমনি গ্রেগরিয়ান নববর্ষ শুধু পাঁচ তারকা হোটেলে সীমাবদ্ধ রাখলে এদেশের মানুষের একটি উদ্ভট মানসিকতা তৈরি হবে।
Published : 31 Dec 2024, 05:55 PM
রোমান নববর্ষের উদযাপন এক সময় পাশ্চাত্যের অন্যতম পুরোনো একটি উৎসব ছিল– যা ৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চালু হয়। ওই উৎসব নানা প্রতীকী বিষয় দিয়ে পূর্ণ ছিল এবং একে রোমান সাম্রাজ্যের অধিবাসীদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ আয়োজন হিসেবে দেখা হতো। দেবতা জানুসের নামানুসারে জানুয়ারি মাসের নামকরণ করা হয়েছে আর এই উৎসবের মধ্য দিয়ে জানুস পুরোনো এবং নতুনের মধ্যে মেলবন্ধন রচনা করেছিলেন বলে পৌরাণিক আখ্যানে উল্লেখ রয়েছে।
এই বর্ষপঞ্জি চাঁদের বছর ধরে পালন করা হতো এবং এটি প্রায় ১,৬০০ বছর ধরে চলেছিল। তারপর, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের প্রচলন করেন (১৫৮২ সালে) পোপ গ্রেগরি ত্রয়োদশ। নববর্ষের দিনটি ক্যালেন্ডার বছরের প্রথম দিন বা পহেলা জানুয়ারি। বেশিরভাগ সৌর ক্যালেন্ডার (যেমন গ্রেগরিয়ান ও জুলিয়ান) উত্তরের শীতকালীন অয়নকালে (সাধারণত ২১ ডিসেম্বর) বা তার কাছাকাছি সময়ে নিয়মিতভাবে বছর শুরু করে থাকে।
রোমানরা বিশ্বাস করত যে, নতুন বছরের জন্য নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষ আগের বছরের ভুল-ত্রুটি পেছনে ফেলে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আত্মনিয়োগ করবে। রোমান নববর্ষ উদযাপনের সময় মোমবাতি জ্বালানো এবং নানা সবুজ বস্তুসামগ্রী দিয়ে ঘর সাজানো হতো। এর মাধ্যমে নতুন আশা এবং পুরাতন আকাঙ্ক্ষার নবায়ন করা হতো।
বেশিরভাগ দেশ এখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকে তাদের নাগরিক ক্যালেন্ডার হিসাবে ব্যবহার করছে। এই ক্যালেন্ডার অনুসারে, ১ জানুয়ারি বিশ্বের বেশিরভাগ স্থানেই সরকারি ছুটি পালিত হয় এবং নববর্ষের আগের দিন মধ্যরাতে দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করা হয়।
১৭৫২ সালে ব্রিটেন এবং তার সাম্রাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে পহেলা জানুয়ারিকে নববর্ষের দিন হিসাবে আইন করে চালু করে। একই আইনের আওতায় তারা ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর শেষ জুলিয়ান বর্ষপঞ্জিকে বাতিল করে দেয়। আইনটি ১৭৫১ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিনটির পর কার্যকর হয়। স্বাভবিকভাবে ব্রিটিশ সাম্রাজের অধীন হবার কারণে ভারতবর্ষেও গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী যাবতীয় রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতে থাকে।
যে নববর্ষ শুরু হয়েছিল দেবতাকে তুষ্ট করার জন্য, কৃষিকাজকে সমৃদ্ধ করার জন্য— আজ তা মানুষ নিজেদেরকে আনন্দিত করতে ও নতুন বছরের জন্য কাজের ভালো পরিকল্পনা করতে ব্যবহার করছে।
গ্রেগরিয়ান নববর্ষ পালনের সঙ্গে মদ্যপানের একটা সম্পর্ক থাকায় মুসলিম বিশ্বে এই নববর্ষ উদযাপন জনপ্রিয় ছিল না। কিন্তু, পাশ্চাত্যের ব্যবসা-বাণিজ্য ও ইংরেজিভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থায় জানুয়ারি মাসের গুরুত্ব থাকার কারণে ধীরে ধীরে মুসলিমপ্রধান দেশেও এটি একটি রেওয়াজে পরিণত হয়।
মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশই তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধার জন্য গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করে। তবে, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উদ্দেশ্যে তারা ইসলামিক বর্ষপঞ্জির চলনও বজায় রেখেছে। উদাহরণস্বরূপ, সৌদি আরব ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়ার উদ্দেশ্যে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করেছে। তবে বেসরকারি খাতের নিয়োগকর্তারা বেতনের উদ্দেশ্যে আগে থেকেই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার শুরু করেন।বাংলাদেশেও ঘটা করে বাংলা নববর্ষ পালিত হয়। বাকি সবক্ষেত্রে গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে, বিশেষ করে যেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অমুসলিম নাগরিক রয়েছেন, সেখানে নববর্ষের আগের সন্ধ্যা বা ‘জিরো আওয়ার’ পশ্চিমা দেশগুলোর মতোই উৎসবের সঙ্গে পালিত হয়। এই উদযাপনের মধ্যে রয়েছে, আতশবাজি প্রদর্শন। বিশেষত দুবাই, ইস্তাম্বুল ও জাকার্তার মতো প্রধান শহরগুলো ব্যাপক আতশবাজির আয়োজন করে।
দুবাই, ইস্তাম্বুল ও জাকার্তার মতো অনেক মুসলিম প্রধান দেশের বড় বড় শহরে কনসার্ট, নিউ-ইয়ার কাউন্টডাউন, বড় বড় বিপনি বিতান, শপিংমলে আলোকসজ্জা করা হয়। অনেক শহরের নাগরিকরা ব্যক্তিউদ্যোগে দলবদ্ধভাবে বাড়ি, রেস্তোরাঁ বা হোটেলে আনন্দঘন সমাবেশের আয়োজন করেন।
সান্ধ্যকালীন আড্ডার উদাহরণ দেওয়ার আগে আমরা বলতে পারি, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় রীতি-নীতি ও সামাজিক বৈচিত্র্য অনুযায়ী এসব আড্ডা আয়োজিত হয়। এসব আড্ডা বা জমায়েতের মধ্যে মজলিশ (সামাজিক সমাবেশ) উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
অনেক উপসাগরীয় দেশে, রাজনীতি, সামাজিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বা একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করার জন্য পুরুষ ও নারীদের আলাদা সমাবেশের ব্যবস্থা রয়েছে।
কফিহাউস এবং শিশা (হুক্কা) লাউঞ্জগুলো অনেক মুসলিম প্রধান দেশে বেশ জনপ্রিয়। এখানে নাগরিকদের জন্য গল্প-গুজব, কার্ড গেম এবং বোর্ড গেমের জন্যও স্থান সংকুলান করা হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে দিনে অধিক গরম থাকার কারণে রাতের বেলায় নাগরিকদের আড্ডা জমে ওঠে। অনেক শহর তাদের প্রাণবন্ত নাইট মার্কেট (সুক) এবং বিলাসবহুল শপিং মল নিয়ে গর্ব করে।
অনেক শহরে স্থানীয় উৎসব, ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের কনসার্ট যেমন ওদ (বেহালা বিশেষ) ও কানুন (সন্তুর) পরিবেশনা, কবিতা পাঠ বা গল্প বলার মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বেশ জনপ্রিয়।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর অনেকগুলোতে ডিসকো, পাব এবং অন্যান্য নাইটলাইফের আয়োজন দেখা যায়। যে দেশগুলো ডিসকো এবং পাবের অনুমতি দেয়, তাদের মধ্যে রয়েছে, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো, মিশর ইত্যাদি। মিশরের নাইট লাইফ পাশ্চাত্য নাগরিকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এখানকার ‘বেলি ড্যান্স’ বিনোদন জগতে বেশ নাম কুড়িয়েছে। এছাড়াও, ওদেশে আছে ডিসকো ও পানশালা।
তুরস্ক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার দেশ হলেও এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। ওখানে ইস্তাম্বুল, আঙ্কারা ও ইজমিরের মতো শহরে ডিসকো, বার ও পাবসহ প্রাণবন্ত নাইটলাইফ রয়েছে। এসব পানশালায় অবশ্য সাম্প্রতিককালে সরকারি নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো হয়েছে।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অমুসলিম সংখ্যালঘুও বাস করে মালয়েশিয়ায়। তাই কুয়ালালামপুরের মতো বড় শহরগুলোতে ডিসকো, ক্লাব ও পানশালার অনুমতি রয়েছে যেখানে বিদেশী পর্যটকগণ অনায়াসে যাতায়াত করে থাকেন। তবে, নিজ দেশের মুসলিম নাগরিকদের ওপর অ্যালকোহল পানে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
মালয়েশিয়ায় নানা উৎসবের মধ্য দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ও কাউন্ট-ডাউন পালিত হয়। উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কুয়ালালামপুরের মতো শহরে আতশবাজি, লাইভ মিউজিক পারফরম্যান্স ও কাউন্ট-ডাউন উদযাপিত হয়। পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার ও কেএলসিসি পার্কের মতো আইকনিক স্পটগুলোতো প্রচুর লোকসমাগম ঘটে। শপিং মল ও হোটেলগুলো প্রায়ই থিম পার্টি বা ইভেন্টের আয়োজন করে। তবে, কিছু লোক শান্ত পারিবারিক ডিনার বা ছোট জমায়েত পছন্দ করেন।
মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা প্রায়শই মাঝারি মাত্রাতেই রাখা হয়। অনেক রক্ষণশীল মুসলিম এসব উৎসব এড়িয়ে যেতে পছন্দ করেন, কারণ তারা এগুলোকে পশ্চিমা ঐতিহ্য হিসেবে দেখেন। এসবের মধ্যে কিছু সম্প্রদায় (যেমন চীনা ও ভারতীয় মালয়েশিয়ান) তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক আচার ও লৌকিকতা উদযাপন করে থাকেন।
এদিকে, ইন্দোনেশিয়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার দেশ হলেও সংস্কৃতি বৈচিত্র্যময় এবং পর্যটকদের প্রতি যথেষ্ট সহনশীল। এখানে জাকার্তা ও বালির মতো শহরের প্রাণবন্ত নাইটলাইফ বিখ্যাত। বিশেষত বালি তার ডিসকো ও বারের জন্য বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। তবে, অঞ্চলভেদে অ্যালকোহল আইন বেশ শক্ত বিশেষ করে আচেহ-এর মতো কিছু প্রদেশে কঠোর ইসলামিক আইন প্রয়োগ করা হয়।
কাতারে কঠোর প্রবিধানের মধ্যেও হোটেল লাউঞ্জগুলোতে সীমিত নাইটলাইফ আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয় বিদেশী পর্যটকদের জন্য। তবে, দেশটি আরও মুক্ত সংস্কৃতি ও সংস্কার গ্রহণ করছে।
কারাওকে ও গানের সমাবেশগুলো বেশ কয়েকটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই স্থানগুলো সাধারণত তরুণ ও মধ্যবয়সী লোকদের আকৃষ্ট করছে, যারা সঙ্গীত এবং সামাজিকীকরণ উপভোগ করেন।
সান্ধ্য বিনোদনের জন্য উদারপন্থী দেশের বিপরীতে অনেক মুসলিম দেশ কঠোরভাবে ইসলামিক নিয়ম মেনে চলে। এসব দেশের মধ্যে সৌদি আরব, ইরান, আফগানিস্তান অন্যতম। সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হলেও শোনা যায় অনেক অভিজাত লোকজন গ্রেগরিয়ান নববর্ষ পালনের জন্য ব্যক্তিগত পার্টির আয়োজন করেন।
এবং বিভ্রান্ত বাংলাদেশ
গ্রেগরিয়ান নববর্ষ যতই ঘনিয়ে আসে, আমাদের দেশের সরকার ততই চিন্তিত হয়ে পড়ে। নানা বিধি-নিষেধের বেড়াজালে মানুষকে ঘরে বন্দি করে রাখতে চায়। এদেশের মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে কিন্তু বিনোদনের তেমন কোনো সুযোগ নেই বললেই চলে। কিছু বোওলিং ও বিলিয়ার্ড ক্লাব হয়েছে বটে, তবে সেগুলো স্বচ্ছল ব্যক্তিদের জন্যই। বেশিরভাগ মানুষ সান্ধ্য বিনোদন থেকে বঞ্চিত। তারা বাসা থেকে অফিস, আর অফিস থেকে বাসায় যাতায়াত করে ‘আমসি’ মনে দিনাতিপাত করেন। এসব মানুষজন ৩১ ডিসেম্বরের সন্ধ্যা ও কাউন্ট-ডাউনকে মানসিক ‘ভেন্টিলেশন’ হিসেবে দেখেন। আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা রাতে থালা-বাটি দিয়ে বাজনা বাজিয়ে বর্ষবরণ করতেন। কিন্তু ইদানিং রাতে নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাদেরকে ঘরে থাকতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশী জনগণ খুবই আমোদপ্রিয় (সৈয়দ মুজতবা আলী তার উজ্জ্বল উদাহরণ) এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী। তাই, তারা ঘরের ছাদে ফানুস উড়িয়ে, পটকা ফুটিয়ে আর আতশবাজি বাজিয়ে নতুন বছরকে বরণ করেন।
আমাদের সকল কর্মকাণ্ড গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা অনুযায়ী হয়ে থাকে। আমরা ঘটা করে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করি। কলকাতাতেও সেখানকার বাঙালি জনগোষ্ঠী বাংলা নববর্ষ ও গ্রেগরিয়ান নিউ ইয়ার আনন্দঘন উৎসবের মধ্য দিয়ে পালন করে।
বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে সরকারিভাবে যেমন, তেমনটাই পরিবেশবাদীরাও আতশবাজি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছে, বিশেষ করে ঢাকা শহরে। পরিবেশবাদীদের আতশবাজির বিরোধিতা করার প্রধান কারণ পাখির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, প্রতিবছরই নববর্ষের সকালে ঢাকা শহরে পাখির অনেক মৃতদেহ দেখতে হয় আমাদের।
সরকারের উচিত এই নববর্ষকে একটি স্বীকৃতি দেওয়া এবং এজন্য বিশেষ কিছু জায়গা চিহ্নিত করে ওইসব স্থানে লোকসমাগম ও নানাবিধ অনুষ্ঠান আয়োজন করে এটিকে সংস্কৃতির অঙ্গ করে নেওয়া। আমজনতা এই সংস্কৃতির পক্ষে। সংস্কৃত ভাষা শুধু ব্রাহ্মণদের জন্য সংরক্ষণ করার কারণে যেমন প্রাকৃত একটি ভাষার জন্ম হয়েছিল, তেমনি গ্রেগরিয়ান নববর্ষ শুধু পাঁচ তারকা হোটেলে সীমাবদ্ধ রাখলে এদেশের মানুষের একটি উদ্ভট মানসিকতা তৈরি হবে।
ইংরেজি নতুন বছর বরণে আগের রাতের আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর মত শব্দদুষণ ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী আজ, ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে জানালেন। পাশাপাশি এবারের পর থেকে ‘থার্টি ফার্স্ট’ যত্রতত্র উদযাপন ঠেকাতে শহরের স্থান নির্ধারণ করে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। পুলিশ সিদ্ধান্তটা কয়েক দিন আগে নিতে পারলে ভালো করত।