নেপালে মূল্যস্ফীতি ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

জ্বালানি এবং খাদ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি নেপালের মূল্যস্ফীতিকে ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। অথচ পর্যটন নির্ভর দেশটির অর্থনীতি কোভিড মহামারীর দুই বছরের ধাক্কা কাটিয়ে সবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।

>>রয়টার্স
Published : 12 May 2022, 05:56 PM
Updated : 12 May 2022, 05:56 PM

সম্প্রতি প্রকাশিত নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে শেষ মাস হিসেবে মধ্য এপ্রিলকে দেখানো হয়েছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বার্ষিক ভোক্তা মূল্য ভিত্তিক মূল্যস্ফীতি আগের মাসে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে এ মাসে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ হয়েছে। এক বছর আগে যেটা ছিল ৩ দশমিক ১০ শতাংশ।

নেপালে এ বছর ভোজ্যতেলের দাম ২৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেড়েছে। সেইসঙ্গে গত বছরের তুলনায় এ বছর দুগ্ধজাত পণ্য, ডিম এবং ডালের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দ্বিগুণ হয়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে।

এ অবস্থায় অর্থনীতিকে বাঁচাতে নেপাল সরকার জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে এবং জ্বালানি খরচ কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাঁচাতে সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন করেছে।

নেপালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত বছর জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে এ বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ১৮ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৯৬১ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা দিয়ে দেশটি তাদের প্রায় ছয় মাসের আমদানি খরচ বহন করতে পারবে।

এনআরবির এক বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে নেপালে আমদানি ব্যয় বেড়ে প্রায় বারশ কোটি মার্কিন ডলার হয়েছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে এই অর্থবছর শেষ হবে।

২০২১ সালের জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে ডলারের বিপরীতে রুপির ২ শতাংশের বেশি অবমূল্যায়ন হওয়ায় দেশটিতে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে জাতীয় নির্বাচনের আগে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার জন্য তা মাথাব্যাথার বড় কারণ হয়ে উঠেছে। এ বছরের শেষে নেপালের জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।