ভারতের চন্দ্রযান-২ চাঁদের বুকে নামার চূড়ান্ত মুহূর্ত প্রায় এসে গেছে। সব ঠিক থাকলে শুক্রবার রাত ১টা থেকেই অবতরণ শুরু হবে। এই শেষের কয়েক ঘণ্টায় উত্তেজনার প্রহর গুনছেন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) বিজ্ঞানীরা।
Published : 06 Sep 2019, 05:35 PM
এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে কোনও যান। এখন পর্যন্ত কেউ চাঁদের এ অংশে পা রাখেনি। ভারত করতে চলেছে সে কাজটিই।
ঐতিহসিক এ মুহূর্ত নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে উত্তেজনার সঙ্গে উৎকণ্ঠাও রয়েছে খানিকটা। ইসরো প্রধান ড. কে শিবন বলেছেন, ছোট ভুলও ডেকে আনতে পারে মিশনের বিপর্যয়, তাই এ উৎকণ্ঠা।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ২২ জুলাই সকালে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল চন্দ্রযান-২। শুক্রবার রাত দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে হবে ‘টাচ ডাউন’। আর শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ ল্যান্ডারের ভেতর থেকে বেরোনোর কথা রোভার প্রজ্ঞানের।
চাঁদের মাটিতে আদৌ পানি আছে কিনা, চাঁদ ভবিষ্যতে বিপুল খনিজের উৎস হতে পারবে কিনা-এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কাজ করবে চন্দ্রযান-২। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতই প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এ নভোযান পাঠিয়েছে।
উৎক্ষেপণের পর পৃথিবীর কক্ষপথ ভেদ করে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করতে চন্দ্রযান-২ এর সময় লেগেছে পাঁচ দিন। পার হতে হয়েছে প্রায় ৩.৮৪ লক্ষ কিলোমিটার পথ। এবার চাঁদে নামার পালা।
এ চন্দ্রযানের তিনটি ভাগ। অরবিটার বা কৃত্রিম উপগ্রহ, যা চাঁদের কক্ষপথে ঘুরবে। ল্যান্ডার, যেটি চন্দ্রযানকে চাঁদের মাটিতে নামাবে এবং নামবে। আর রোভার চাঁদের মাটিতে ভ্রমণ করে পানি ও অন্যান্য খনিজের সন্ধান করবে।
স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ ছেড়ে আলাদা হওয়া থেকে চাঁদে অবতরণ, এ সময়টিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন ‘ভয়ঙ্কর ১৫ মিনিট’।
মধ্যরাতে বেঙ্গালুরুতে ইসরোর সদরদপ্তর থেকে চন্দ্রযান-২ এর চাঁদের বুকে নামার দৃশ্য দেখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অভিযান সফল হলে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের পর ভারত বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদে পা রাখবে।
এর আগে চন্দ্রযান-১ অভিযান চালিয়েছিল ইসরো। সে অভিযানের মেয়াদ ছিল ৪ মাস। আর চন্দ্রযান-২ এর অভিযানের মেয়াদ হচ্ছে ১ বছর।