ভারতের মধ্য প্রদেশের এক সরকারি হাসপাতালে এক নারী ও এক পুরুষ রোগীকে একই স্ট্রেচারে একসঙ্গে শুইয়ে এক্সরে কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
Published : 04 Jul 2019, 03:03 PM
ইন্দোরের মহারাজা যশবন্তরাও হাসপাতালে এ কাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
স্ট্রেচারে নিয়ে যাওয়া দুই রোগীর একজনের নাম সঙ্গীতা। ডান পায়ে আঘাত পেয়ে ১২ দিন আগে তিনি মধ্য প্রদেশের সবচেয়ে বড় এ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
“আমার স্ত্রী অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি হন। স্ট্রেচারের সংকটের কথা বলে কী এক মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তাকে অন্য এক পুরুষ রোগীর সঙ্গে একই স্ট্রেচারে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা অসহায় ছিলাম, রোগীর চিকিৎসার কথা ভেবে আমরা পুরুষ রোগীর সঙ্গে একই বিছানায় তাকে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতেও প্রস্তুত ছিলাম,” বলেন সঙ্গীতার স্বামী ধর্মেন্দ্র।
ডাক্তারের নির্দেশেই এক স্ট্রেচারে দুই রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল; ঠাসাঠাসি করে স্ট্রেচারে নেওয়ার সময় অস্বস্তি হয়েছিল বলেও জানান সঙ্গীতা।
এ ঘটনার একটি ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ড. পিএস ঠাকুর চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ দায়িত্বরত সকল কর্মীকে কারণ দর্শানো নোটিস দেন।
দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া ঠাকুর সরকারি এ হাসপাতালে স্ট্রেচার এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতির কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন।
কেবল এক স্ট্রেচারে নারী ও পুরুষ রোগীকে বহনের নির্দেশই নয়, দায়িত্বরত চিকিৎসক ‘ডিউটি টাইমের’ পর আর রোগী দেখবেন না- এমনটা বলেছিলেন বলেও দাবি সঙ্গীতার স্বামীর।
ভারতের অন্যান্য বড় প্রদেশের তুলনায় মধ্য প্রদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও সেবার মান ভয়াবহ খারাপ বলে সম্প্রতি দেশটির সরকারের প্রতিষ্ঠিত নীতি কমিশনের তথ্যেও দেখা গেছে।
চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও সেবার ক্ষেত্রে তালিকার ১৮ নম্বরে থাকা এ প্রদেশটির নিচে আছে কেবল ওড়িষা, বিহার ও উত্তর প্রদেশ।
গত সপ্তাহে জাবালপুর সরকারি মেডিকেল কলেজে এক অ্যাটেনডেন্ট বিছানার চাদরে টেনে এক রোগীকে এক্সরে কক্ষে নিয়ে যান বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
জুনের মাঝামাঝি বিনা শহরের সরকারি এক হাসপাতালের চিকিৎসকরা এক বৃদ্ধকে মৃত ঘোষণা করার পর তাকে সারারাত হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছিল।
ময়নাতদন্তের প্রস্তুতির সময় বৃদ্ধটিকে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দেখে তার জীবিত থাকার প্রমাণ মেলে। পরে ওই দিনই তিনি মারা যান।