ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
বুধবার নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক সংগঠনটির ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃবিতে শামসের কাজ সংক্রান্ত সব ধরনের তদন্তও বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
শামসকে যেভাবে আটক করা হয়েছে, তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একাধিকবার বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো অভিযোগ করা হলে কোনো সাংবাদিককে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হবে না। কিন্তু মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পরও এই আইনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিকদের ‘নিপীড়নের শিকার’ হতে হচ্ছে।
সাংবাদিক শামসের আটকের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে বিবৃতিকে উল্লেখ করে সিপিজে।
স্বাধীনতা দিবসে এক সংবাদ প্রতিবেদনের জেরে বুধবার ভোররাতে সিআইডি পরিচয়ে শামসকে ‘তুলে নিয়ে’ যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে তাকে আটক বা গ্রেপ্তার করার কথা অস্বীকার করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
পরে ওই প্রতিবেদনে ‘মিথ্যা ও জাতির জন্য মানহানিকর’ তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ ও প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা হয় শামসের বিরুদ্ধে। একটি মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদককেও আসামি করা হয়। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে হাজির করা হয় শামসকে।
নিউ ইয়র্কে সিপিজে’র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কার্লোস মার্টিনেজ দে লা সেরনা বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক শামসকে গ্রেপ্তার ও হয়রানির মত প্রতিক্রিয়া ভীতির সঞ্চার করছে। অবিলম্বে শামসকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।”
সমালোচকদের ‘কণ্ঠ রোধ করতে’ এই আইন ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন কার্লোস।
আরও পড়ুন-