শুরু রং করলেই হয় না, চুল পাকা রোধ করতে পুষ্টিকর খাবারও প্রয়োজন।
Published : 02 Nov 2022, 10:36 AM
চুলের জন্য নিরাপদ প্রাকৃতিক রং আর উপকারীও বটে।
কৃত্রিম রংয়ে রয়েছে সালফেট, প্যারাবেন এবং ফ্যাথালেটস। যা পরে চুল সাদা করে ফেলার জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক রং ব্যবহার চুলের জন্য উপকারী।
এই বিষয়ে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি প্রসাধানী প্রতিষ্ঠান ভারতের ‘সুরিয়া ব্রাসিল’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ক্লেলিয়া সিসিলিয়া অ্যাঞ্জেলন টাইমস অব ইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “চুল মসৃণ ও সুস্থ রাখতে খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন বি-৬ ও বি-১২ আছে এমন খাবার যেমন- আপেল, কলা, ওটস, মাছ ইত্যাদি চুল মসৃণ রাখে।”
সরাসরি মসৃণতার জন্য মাছের তেলের ক্যাপ্সুল খাওয়া যেতে পারে। সূর্যালোক ভিটামিন ডি সরবারহ করে। আর চুলের গোড়ায় মেলানিনের মাত্রা বাড়ায়।
আমলকী, অ্যাভাকাডো, ডার্ক চকলেট ও ব্রকলি মেলানিনের উৎপাদন বাড়ায় এবং অকালে চুল পাকা নিয়ন্ত্রণ করে।
কাজু ও কাঠ বাদাম একসঙ্গে খেতে পারলে দৈনিক ফলিক অ্যাসিডের চাহিদা মিটবে। যা প্রাকৃতিকভাবেই চুল পাকার বিরুদ্ধে কাজ করে।
পাকা চুল ঢাকতে কৃত্রিম রংয়ে থাকা রাসায়নিক উপরকণ চুলের ক্ষতি করে। ফলে আগা ফাটা ও নির্জীবভাব দেখা দেয়।
চুল প্রাকৃতিকভাবে রং করতে মেহেদী ব্যবহার করা ভালো। তাজা মেহেদী পাতা বেটে চুলে দুতিন ঘন্টা রেখে দিলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
সেসিলিয়া বলেন, “যাদের চুল ২৫ শতাংশর কম পাকা তাদের জন্য এর কমলাটে রং বেশ মানানসই। তবে এটা ব্যবহার সময় সাপেক্ষ হওয়াতে তরুণ প্রজন্ম ‘রেডি টু ইউজ’ ধরনের মেহেদি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকেছে। এতে মেহেদির গুণ ও ভেষজ নির্যাস যোগ থাকায় তা চুলের জন্য বেশি উপকারী।
মেহেদি কেবল চুলে রং দেয় না বরং এটা চুলে মসৃণভাব আনে। এর সঙ্গে অন্যান্য তেল মিশিয়ে ব্যবহার করা হলে তা চুলে খুব ভালো কাজ করে। মসৃণ করার পাশাপাশি মাথার ত্বক সুস্থ রাখে এবং খুশকির সমস্যা কমায়।
চুলে রং করার ক্ষেত্রে উপাদানের প্রতি খেয়াল রাখা উচিত। মেহেদি ভিত্তিক অনেক রং রয়েছে যাতে কড়া রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়।
তাই পণ্য কেনার আগে উপকরণ তালিকা দেখে কেনার পরামর্শ দেন, সিসিলিয়া।
প্রাকৃতিক মেহেদি দিয়ে তৈরি ক্রিমে ক্ষতিকারক উপাদান যেমন- অ্যামোনিয়া বা এর উপজাত- ইথানোলামিন, ডায়থোলামিন এবং ট্রায়াথোলামিন থাকে না।
চুলে রং করার আগে সালফেট বিহীন শ্যাম্পু ব্যবহার করা এবং রং করার পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। এতে রং করার আগে কিউটিকেল উন্মুক্ত হয় এবং পরে সংকুচিত হয়।
চুলের বৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে প্রতি ২০ দিন পর পর রং করা যায়। ক্ষতিকারক রাসায়নিক রংয়ের পরিবর্তে মেহেদি ভিত্তিক রং ব্যবহার চুলকে সুস্থ রাখে এবং মসৃণভাব আনে।
আরও পড়ুন