মেহেদি দিয়ে কেশ রাঙানো সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি। এছাড়া অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েও পাকাকেশ ঢেকে ফেলা যায়।
Published : 30 Oct 2017, 04:02 PM
দুশ্চিন্তা, কাজের চাপ অথবা বয়স যে কোনো কারণেই চুল পাকতে পারে। তবে চুল রাঙাতে বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ‘ডাই’তেও থাকে রাসায়নিক পদ্ধার্থ। যা চুলের জন্য ক্ষতিকর।
তাই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা নিরাপদ।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদানের নাম এখানে দেওয়া হল। যেগুলো ব্যবহার করে পাকাচুল ঢেকে ফেলার পাশাপাশি কেশ পরিচর্যাতেও কাজে লাগানো যায়।
মেহেদি: সবচেয়ে প্রচলিত পন্থা। এটা শুধু চুল রাঙায় না, আনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও ঘনত্ব।
তেলের রং মেহেদির রং হওয়া পর্যন্ত ক্যাস্টর অয়েল এবং মেহেদি পাতা একসঙ্গে ফুটান। তারপর তেলটি ঠাণ্ডা করে চুলের গোড়া ও পাকাচুলে লাগান। দুই ঘন্টা অপেক্ষা করে শিকাকাই সমৃদ্ধ মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন।
কফি: পাকাচুল রং করতে কফি খুব ভালো কাজ করে। এরজন্য বেশ কড়া করে কফি তৈরি করতে হবে।
গরম পানিতে কফি ফুটিয়ে নিন। যেন চুলের রংয়ের কাছাকাছি হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
কফি কুসুম গরম থাকা অবস্থায় একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন। তারপর চুল ও চুলের গোড়ায় স্প্রে করুন। এরপর ভালোভাবে মালিশ করে ‘শাওয়ার ক্যাপ’য়ের সাহায্যে চুল ঢেকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
গোসলের সময় এটা ব্যবহার করা ভালো। এতে পোশাক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
ব্ল্যাক টি: কফির মতো ব্ল্যাক টি প্রাকৃতিকভাবে চুল রং করতে সাহায্য করে। তবে খেয়াল রাখতে হবে চায়ের লিকারটা যেন গাঢ় হয় এবং তাপমাত্রা যেন সাধারণ থাকে বা চুলে লাগানোর আগে সামান্য গরম থাকে।
কমপক্ষে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে নিন।
আখরোটের খোসা: আখরোটের খোসা চুলে গাঢ় বাদামি রং করতে সাহায্য করে। তবে অসাবধানতায় এটা কাপড় ও ত্বকেও দাগ ফেলতে পারে।
প্রথমে আখরোটের খোসা গুঁড়া করে ৩০ মিনিট পানিতে ফুটিয়ে নিন। তারপর ঠাণ্ডা হয়ে এলে চুলের গোড়া ও চুলে লাগান। চাইলে তুলার বলের সাহায্য নিতে পারেন।
এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
ছবির: প্রতীকী মডেল: তাসমিয়া মিম। ছবি: দীপ্ত।
আরও পড়ুন