টাকা খরচ করে চুলে রং করিয়েছেন। তবে কয়দিন যেতে না যেতেই হয়ে গেল ফ্যাকাশে! এই পরিস্থিতি থেকে নিস্তার পেতে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলেই হয়।
কয়েকজন রূপ-বিশেষজ্ঞ ও চুলে রং করে এরকম প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে একট প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
গরম পানি ব্যবহার না করা
গরম পানি শুধু ত্বকই রুক্ষ করে দেয় না, চুলের রংয়ের স্থায়ীত্বও কমিয়ে দেয়। গরম তাপমাত্রা চামড়ার বাইরের স্তর বা কিউটিকল খুলে দেয় যা চুলের আদ্রতা হারানোর পাশাপালি রং উঠিয়ে দেয়।
তাই শ্যাম্পু করার পর স্বাভাবিক পানি দিয়ে চুল ধুয়ে আবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে তারপর শুকনা তোয়ালে দিয়ে মোছা উচিত। এতে চুলের রং দীর্ঘস্থায়ী হবে।
চুলের নিরাপত্তা
যারা সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন তাদের রং করা চুল ভালোমতো ঢেকে পানিতে নামা উচিত। কারণ সুইমিং পুলের পানিতে ক্লোরিন থাকে যা চুলের রং নষ্ট করে দেয়। সমুদ্রের নোনা পানিও রং হালকা করে দেয়। তাছাড়া রোদের তাপেও চুলের রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
তাই সমুদ্রের পানিতে মজা করার সময় এবং রোদের হাত থেকে বাঁচাতে চুল ভালোমতো ঢেকে রাখা জরুরি।
যন্ত্র ব্যবহারে সাবধান
রং করার পর অন্তত এক সপ্তাহ হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকানো যাবে না। এই ধরনের যন্ত্রের গরম বাতাস চুলের রং হালকা করে দেয়।
চুল ধোয়া
রং করার পর অন্তত পক্ষে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর চুল ধোয়া উচিত। যত দেরিতে চুল ধোয়া হবে ততবেশি রং স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
রং করার আগে প্রস্তুতি
রং করার দুই একদিন আগে চুলে ভালোমতো শ্যাম্পু করুন। সেই সঙ্গে ‘ডিপ-কন্ডিশনিং মাস্ক’ ব্যবহার করলে চুলে আদ্রতা ফিরে আসবে। যা চুলের রং বিবর্ণ হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
ডিপ-কন্ডিশনিংয়ের সাবধানতা
এই পদ্ধতি চুলের সব রংয়ের জন্য ভালো নয়। বিশেষ করে ‘ব্রুনেইট’ বা ‘ভাইব্রান্ট রেড’ হালকা করে দিতে পারে। কন্ডিশনার বা মাস্ক চুলের গভীরে যেয়ে গোড়া থেতে আদ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। যখন কন্ডিশনার ধোয়া হয় তখন রংয়ের অণুগুলোও উঠে আসে, ফলে রং হালকা হয়ে যায়। এই অবস্থা এড়ানোর জন্য ভালো মানের কন্ডিশনার ব্যবহার করে অল্প সময়ের মধ্যেই ধুয়ে ফেলতে হবে।
ছবির মডেল: আশা। মেইকআপ: হেয়ারোবিক্স ব্রাইডাল। ছবি: ই স্টুডিও।