আদাতে নীলচে সবুজ দাগ দেখা দিলে বুঝতে হবে নষ্ট হয়ে গেছে।
Published : 06 Nov 2022, 04:39 PM
কুচি করা কিংবা বাটা আদার গুণ টিকিয়ে রাখার পন্থা রয়েছে অনেক।
খাবারে স্বাদ যোগ করার পাশাপাশি পুষ্টি উপাদানও সরবরাহ করে আদা। একটু সর্দি লাগলেই আদা দিয়ে লাল চা পান, গলায় খুশখুশে কাশি থামাতে কিংবা বমিভাব ঠেকাতে কাঁচা আদা চিবিয়ে খাওয়া হয়।
পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে আদার এই ভেষজ উপকারিতার যোগান দেয় এতে থাকা জৈবসক্রিয় উপাদান ‘জিনজেরোল’। হাড়ের জোড়ের ব্যথা সারাতে এই উপাদান কার্যকর।
রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো, ঋতুস্রাবের ব্যথা কমানো ইত্যাদিতেও আদার ভূমিকা আছে।
এত গুণ যে আদার তাকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা তো খুবই জরুরি বিষয়। ‘রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল বিস্তারিত।
কাঁচা আস্ত আদা
নানান কাজে ব্যবহার হয় বলে বাজার থেকে অনেকটা আদা একসঙ্গে কিনে রাখেন প্রায় সকলেই। দীর্ঘদিন একে সতেজ রাখার জন্য কোনো বায়ুরোধক কৌটা বা প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে তা ফ্রিজের ড্রয়ার’য়ের মধ্যে রাখা উচিত।
এভাবে আদা পুরো মাস সতেজ থাকবে। আরও বেশি সময়ও স্থায়ী হতে পারে। তবে নীলচে-সবুজ ছোপ দেখা দিলে বুঝে নিতে হবে আদা নষ্ট হয়ে গেছে। তখন অবশ্যই ফেলে দিতে হবে।
খোসা ছাড়ানো আদা
আদা ছিলে নিলে এর স্থায়িত্ব কমে যায়। কারণ বাতাসের অক্সিজেনের সরাসরি সংস্পর্শে আসবে তখন সেটি। এক্ষেত্রে খোসা ছাড়ানো আদার টুকরাগুলো প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়িয়ে নিতে হবে শক্ত করে। পরে আরেকটি প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে ফ্রিজের ড্রয়ার’য়ে রাখতে হবে। এভাবে আদা তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকা সম্ভব।
টুকরা বা কুচি করা আদা
ঝটপট রান্না সেরে ফেলার জন্য আদা টুকরো করে কেটে বা কুচি করে রাখেন অনেকেই। এতে রান্নার ঝামেলা কমলেও আদার স্থায়িত্ব কমে যায়। ফ্রিজের ড্রয়ারে বায়ুরোধক ব্যাগ বা কৌটায় রাখলেও তা এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে।
হিমায়িত কি করা যায়?
অবশ্যই। এটাই বরং আদার স্থায়িত্ব বাড়ানোর আদর্শ উপায়।
আস্ত আদা ডিপ ফ্রিজে রাখলে তা পাঁচ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে। তবে মনে রাখতে হবে ডিপ ফ্রিজে রাখার আগে আদা ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। আর রাখতে হবে বায়ুরোধক ব্যাগ বা কৌটায়।
আদা বাটাও এভাবে রাখা যায়। আর মজার ব্যাপার হলো হিমায়িত আদা গলানোর দরকার হয় না। সরাসরি রান্নায় ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন