সম্পর্ক অনেক দিনের; তবে বিয়ের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনার প্রয়োজন হয়।
Published : 23 Jan 2025, 06:30 PM
জীবনে বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আর কারও সঙ্গে সম্পর্কে থাকলে তাকে নিয়ে ঘর বাঁধার ক্ষেত্রে অনেক কিছু বিবেচনায় নিতে হয়।
জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের দিকে নজর দেওয়া পরামর্শ দেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা-ভিত্তিক মনোবিজ্ঞানি ডা. মার্নি ফিউয়ারম্যান।
ভেরিওয়েলমাইন্ড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “জীবনসঙ্গী হিসেবে সে কি ভালো হবে, না-কি সবই মরীচিকা? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করা দরকার। কারণ এসবের ওপরেই নির্ভর করবে আপনার বাকি জীবনটুকু।”
সিদ্ধান্তটা নিতে হবে নিজেকেই। তাই আবেগ নয়; যুক্তি দিয়ে লক্ষণীয় কিছু বিষয়ের প্রতি নজর দেওয়া উচিত।
আর্থিক স্বচ্ছলতা
দামি উপহার দেওয়া, বিলাশবহুল রেস্তোরাঁয় খাওয়ানো মানেই সঙ্গী আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নাও হতে পারে। দেখতে হবে এত কিছুর পেছনে পয়সার যোগান কার?
বিয়ে তাকেই করা উচিত যে পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে এবং আর্থিকভাবে সমর্থ। আবার আয়-ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখার গুণও তার থাকা চাই।
উপহার দেওয়ার জন্য যদি আরেকজনের কাছ থেকে ধার করতে হয়, তবে সংসার সুখের না হওয়াই সম্ভাব্য।
সহযোগী মনোভাব
মুখে বলা সহজ, কাজে দেখানো কঠিন। অফিসের কাজের চাপে আপনি যখন অতিষ্ঠ, তখন সঙ্গী কি সিনেমা দেখতে যাওয়ার জন্য গাল ফুলিয়ে বসে থাকে? নাকি আপনাকে কাজে মনযোগ দিতে উৎসাহ দেয়?
রাতে বাসায় ফেরার সময় আপনার সঙ্গী কি নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত? নাকি দেখা করতে না পারার জন্য অফিসকে দুষতে ব্যস্ত?
ডা. ফিউয়ারম্যান বলেন, “একজন সহযোগী সঙ্গী সমস্যায় আপনার পাশে থাকবে, সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে।”
মূল্যায়ন
সম্পর্কের জন্য আপনার অবদানগুলো সঙ্গীর অবশ্যই মূল্যায়ন করা উচিত।
প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার প্রিয় খাবার রান্না করা, অফিস থেকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া, কাজ শেষে ক্লান্তি দূর করার জন্য কফি পানে নিয়ে যাওয়া- ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়গুলোকে যে মূল্যায়ন করবে, জীবনসঙ্গী হিসেবে সেই আদর্শ।
“তবে এগুলোকে যদি দায়িত্ব মনে করে, তবে আপনার কপালে দুঃখ থাকতে পারে”- মন্তব্য করেন এই মনোচিকিৎসক
জীবনযাত্রার ধরন
ভবিষ্যত সঙ্গীর মানসিক অবস্থা সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই। সে কি রগচটা? নিজে মানসিক চাপে থাকলে তার রেশ কি সঙ্গীর ওপরেও পড়ে? অকারণেই অস্বস্তিতে ভোগে? অস্বস্তি সমাধানের চেষ্টা না করে পালিয়ে বাঁচতে চায়? ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস আছে? থাকলে সেটা কোন মাত্রায়?
দুটি মানুষ বাকি জীবনটা একসঙ্গে কাটাতে হলে এই বিষয়গুলোও ভাবতে হবে।
তার অনুভূতি কেমন
ডা. ফিউয়ারম্যান বলেন, “আপনি হয়ত মন প্রাণ উজাড় করে তাকে ভালোবাসেন, সেও কি তাই? এক হাতে যেমন তালি বাজে না, তেমনি একতরফা ভালোবাসা দিয়ে সংসার করা যায় না। তাই আপনার প্রতি সঙ্গীর ভালোবাসা সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে হবে।”
আপনাকে মেনে নেওয়া
সঙ্গী কি আপনার অতীত সম্পর্কে সবকিছু জানে? আপনার অদ্ভূত অভ্যাস বা শখগুলোকে কি সে সাদরে গ্রহণ করতে পারে? আপনার গায়ের রংটা কি তার পছন্দ?
“যদি উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয়, তবে শূভ কাজে দেরি করতে নেই। তবে যদি ‘না’ হয়, তবে সময় নিন, ভাবুন”- পরামর্শ দেন ডা. ফিউয়ারম্যান।
আরও পড়ুন
পুনরায় বিয়ের আগে যেসব আর্থিক বিষয় বিবেচনা করা দরকার
বিবাহিতরা কি অবিবাহিতদের চাইতে বেশি সুখী?