Published : 25 Oct 2022, 04:43 PM
আয়ুর্বেদ থেকে শুরু করে এই সময়ের পুষ্টিবিদরা- কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান।
তবে এই বাদাম অন্ত্রের জন্য উপকারী কি-না তা নিয়ে রয়েছে নানান মতামত রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন এক মুঠ বাদাম ‘বিউটারেইট’ সংশ্লেষণকে ব্যাপকভাবে উন্নত করে। এটি ‘শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড’ যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
গবেষণা
‘কিংস কলেজ লন্ডন’য়েল গবেষকরা অন্ত্রের ওপর কাঠবাদামের প্রভাব সম্পর্কে গবেষণা করেন।
‘ক্যালিফোর্নিয়া আমন্ড বোর্ড’য়ের অর্থায়নে করা ‘আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিকাল নিউট্রিশন’য়ে প্রকাশিত এই গবেষণার ফলাফলে জানানো হয়, অন্ত্রের ‘মাইক্রোবায়োম’ হাজার হাজার অনুজীব দিয়ে গঠিত যা পুষ্টি হজমে ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণে ভূমিকা রাখে।
গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, তবে এই উপকারটা কীভাবে হয় তা জানার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।
গবেষণায় আলোকে বলা যায়, নির্দিষ্ট কিছু খাবার অন্ত্রের ব্যাক্টেরিয়া ও অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষকরা ৮৭ জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ওপর পর্যবেক্ষণ চালান। যাদের এমনিতেই খাদ্যাভ্যাসে আঁশের পরিমাণ কম এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত। যেমন- চকলেট, চিপস ইত্যাদি।
অংশগ্রহণকারীদের তিনটি দলে ভাগ করা হয়। প্রথম দল নাস্তায় প্রতিদিন ৫৬ গ্রাম আস্ত কাঠ-বাদাম পায়। দ্বিতীয় দল প্রতিদিন ৫৬ গ্রাম কাঠবাদামের গুঁড়া খায়। আর নিয়ন্ত্রিত তৃতীয় দল শক্তিবর্ধক মাফিন খান প্রতিদিন। এই গবেষণা চার সপ্তাহ ধরে চলে।
ফলাফল
গবেষকরা দেখেছেন- মাফিন খাদকদের তুলনায় যারা কাঠবাদাম গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ‘বিউটারেইট’ উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল। এই ‘শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড’ পায়ুপথের আস্তরণের কোষগুলোর জন্য জ্বালানির প্রধান উত্স।
যখন এই কোষগুলো কার্যকরভাবে কাজ করে, তখন অন্ত্রের জীবাণুগুলোর বিকাশের জন্য একটা আদর্শ অবস্থা সৃষ্টি হয়। ফলে অন্ত্রের প্রাচীর শক্তিশালী হয় ও ফুটো বা স্ফীত হয় না। এটা পুষ্টি শোষণেও সহায়তা করে।
আসল বিষয় হল
অন্ত্রের বিপাক সময়ের মধ্যে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা দেয়নি। তবে আস্ত কাঠবাদাম খাওয়ার দলটি অন্যান্য দলের তুলনায় প্রতি সপ্তাহে অতিরিক্ত ১.৫ মলত্যাগ ছিল।
এই ফলাফল থেকে বলা যায়, যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাদেরও উপকার করতে পারে কাঠবাদাম।
পরীক্ষায় দেখা গেছে যে আস্ত এবং গুঁড়া কাঠবাদাম খাওয়া খাদ্যাভ্যাসকে উন্নত করে, নিয়ন্ত্রিত দলের তুলনায় অন্য দল দুটির অংশগ্রহণকারীরা ‘মনোস্যাচুরেইটেড ফ্যাটি অ্যাসিড’, আঁশ, পটাসিয়াম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির পরিমাণ বেশি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: