ত্বকের যত্নে যেমন নিয়ম মানা প্রয়োজন তেমনি দরকার উপযুক্ত প্রসাধনী।
রূপচর্চায় এক্সফলিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এটা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। কিন্তু অতিরিক্ত এক্সফলিয়েশন ত্বকের নানান ক্ষতিও করতে পারে।
ত্বক এক্সফলিয়েট করতে কোন ধরনের পণ্য এবং কী উপায়ে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভুল পণ্য ও সঠিক ধারাবাহিকতার অভাবে ত্বক অতিরিক্ত এক্সফলিয়েট হয়ে যেতে পারে। এর ফলে ত্বকের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি, লালচেভাব এবং অনেকক্ষেত্রে পোড়াভাব ও দাগছোপও দেখা দিতে পারে।
ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ‘ইউনিকা’ ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ড. গগন ভাটিয়া বলেন, “লোকেরা বিশ্বাস করেন যে, ত্বকের স্বাস্থ্য রূপচর্চায় ব্যবহৃত পণ্য ব্যবহারের ধাপগুলোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। ঘন ঘন এক্সফলিয়েটর ব্যবহার করা ত্বকের সুরক্ষার স্তর দুর্বল করে দেয়। তাই প্রত্যেকেরই নিজের ত্বকের ধরণ বুঝে মৃদু এক্সফলিয়েটর দিয়ে ত্বক এক্সফলিয়েট করতে হবে।”
তার মতে, প্রাকৃত ও রাসায়নিক দুই এক্সফলিয়েটরই প্রতিদিন ব্যবহার করা ত্বকের সুরক্ষার স্তর ভেঙে দেয় এবং ব্রেকআউট ও মলিনতা সৃষ্টি করে।
অতিরিক্ত এক্সফলিয়েট হওয়া ত্বককে রক্ষা করার উপায়
প্রাকৃত ও রাসায়নিক এক্সফলিয়েটর: রেটিনয়েড, ফোমিং ফেইস ওয়াশ এবং রুক্ষ ফেইশল স্ক্রাব ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। এর পরিবর্তে ফোম তৈরি করে না এমন মৃদু ফেইসওয়াশ ব্যবহার ত্বকের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।
ত্বক কোমল রাখা: অ্যালো ভেরা জেল বা কাঁচা ঠান্ডা অ্যালো ভেরা ব্যবহারে ত্বকে লালচেভাব কমায় এবং আরাম দেয়। আর্দ্রতা রক্ষাকারী পণ্য যেমন- হায়ালুরনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন ও শিয়া বাটার ত্বকের জন্য উপকারী। এছাড়াও সেরামাইড ও পেপটাইড সমৃদ্ধ প্রসাধনী ত্বকের সুরক্ষার স্তরকে উন্নত করতে সহায়তা করে।
সাধারণ ত্বকের যত্ন: ত্বকের সাধারণ পরিচর্যা যা মূলত এর প্রাকৃতিক তেলকে শুষে নেয় না এমন ধাপগুলো মেনে চলা উচিত। সুগন্ধিহীন, মৃদু ফেইসওয়াশ এবং আর্দ্রতা রক্ষাকারী হালকা ময়েশ্চারাইজার ও এসপিএফ ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে।
নিয়মিত এসব সাধারণ ত্বকের পরিচর্যা চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে আমূল পরিবর্তন দৃশ্যমান করতে ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন