Published : 07 Sep 2022, 06:49 PM
বয়সের সঙ্গে প্রোটিন গ্রহণের মাত্রা বাড়ানো জরুরি।
বয়স যতই হোক না কেনো সুস্থ থাকতে প্রতিদিনকার খাবার তালিকায় প্রোটিন রাখা প্রয়োজন। এতে পেট-ভরা অনুভূত হয়, পেশি সুগঠিত হয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং বিপাক উন্নত হয়ে পর্যাপ্ত শক্তি যোগাতে সহায়তা করে।
“বয়স পঁচিশের পর থেকেই চর্বিহীন পেশির ভর দুই থেকে তিন শতাংশ হারাতে থাকে। আর সাধারণ বিপাকক্রিয়ার জন্য দুতিন শতাংশ হ্রাস পায়” বলে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্যা স্পোর্টস নিউট্রিশন প্লেবুক’য়ের লেখক এমি গুডসন।
ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ের এই নিবন্ধিত মেডিকেল বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, “বাস্তবিকভাবে এই দুই বিষয় সম্পর্কিত। চর্বিহীন পেশির ভর বৃদ্ধি সক্রিয় বিপাক বাড়ায়। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেশির ভর বজায় রাখা জরুরি।”
দুধের তৈরি খাবার: দুধের তৈরি খাবারে কোনো রকম অ্যালার্জি বা ল্যাকটোজ সংবেদনশীলতা না থেকে থাকলে এই ধরনের খাবার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করে।
“দুগ্ধজাত খাবার যেমন- দুধ, পনির, দই ইত্যাদি কেবল হাড়কে সুস্থ ও দৃঢ় করে না বরং ক্যালসিয়াম উন্নত মানের প্রোটিন সরবারহ করে এবং চর্বিহীন পেশি গঠন ও এর ভর নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
চর্বিহীন মাংস
বয়স পঞ্চাশের পরে মাংস খাওয়াকে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়।
কিন্তু গুডসন বলেন, “চর্বিহীন ও উন্নত কাটের মাংস খাওয়া দেহের জন্য উপকারী।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, “লৌহ, ভিটামিন বি-১২, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সেলেনিয়াম এবং উচ্চ মানের প্রোটিনের মতো দশটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে গরুর মাংসে।”
এই মাংস থেকে চর্বি বাদ দিয়ে সবজি ও শস্যে সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া দেহের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পুষ্টির চাহিদা মেটাতেও ভূমিকা রাখে।
ডিম
ডিমে কোলেস্টেরল থাকায় একে অনেকটা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়। তবে অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, পঞ্চাশের পরেও ডিম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবেই বিবেচিত হতে পারে।
গুডসন বলেন, “ডিম শরীরের জন্য উপকারী প্রোটিন যোগায়।”
প্রতিটা ডিমে ছয় থেকে সাত গ্রাম প্রোটিন থাকে যা দেহে লৌহ, ভিটামিন বি১২ এবং ডি সরবারহ করে। এছাড়াও এতে আছে, কোলিন যা মস্তিষ্ক ও জ্ঞানীয় স্বাস্থ্য উন্নত রাখতে সহায়তা করে।
ডিম প্রোটিনের ভালো উৎস যা ওজন কমানোর লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে থাকা প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং বাড়তি খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমাতে সাহায্য করে। যা ওজন কমানোতেও ভূমিকা রাখে।
মটর ও শুঁটি
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালেন্স ওয়ান সাপ্লিমেন্ট’য়ের পুষ্টিবিদ ট্রিস্টা বেস্ট একই প্রতিবেদনে বলেন, “২০টি অ্যামিনো অ্যাসিডের মধ্যে নয়টি অত্যাবশ্যকীয় যা খাবার তালিকায় রাখা উচিত।”
প্রাণিজ প্রোটিনে ২০টি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকলেও উদ্ভিজ্জ উৎসে এর সবগুলো থাকে না। ভাতের সঙ্গে মটর খাওয়া সঠিক মাত্রার অ্যামিনো অ্যাসিড যোগাতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদ বেস্ট আরও বলেন, “তাছাড়া মটরশুঁটির আঁশ অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা রাখে এবং অন্ত্রের ভালো ব্যাক্টেরিয়াকে খাবার দেয় ও অন্ত্র ভালো থাকে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ ও বর্জ্যকে বের করে দিতে আর কোলেস্টেরল ও দেহের ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে।”