লেবু উপকারী। তবে রাতে খেলে হতে পারে ঘুমের সমস্যা।
Published : 21 Aug 2024, 03:28 PM
ব্যস্ত সময়, অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, পরিবেশগত চাপ – ইত্যাদি নানান কারণে রাতে ভালো ঘুম নাও হতে পারে।
এসব ছাড়াও শান্তির ঘুম কেড়ে নিতে পারে কিছু খাবার।
ভালো মতো ঘুমাতে চাইলে রাতে এসব খাবার খাওয়া এড়াতে হবে।
ক্যাফিন যুক্ত চা
অনেকেই রাতের খাবারের পর চা পান করতে অভ্যস্ত। আর বেশিরভাগ চা বা কফিতে ক্যাফিন থাকে যা উদ্দিপক হিসেবে দেহে কাজ করে। ফলে ঘুম আসতে চায় না।
রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এভাবেই ব্যাখ্যা করে মার্কিন পুষ্টিবিদ ক্রিস্টেন কার্লি আরও বলেন, “চা বা কফির পরিবর্তে ‘ডিক্যাফ টি’ পান করা যেতে পারে। আরও ভালো হয় কুসুম গরম দুধ পান করলে; যা ঘুম আনতে সহায়তা করে।”
চকলেট
রাতে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে জাগলে টুক করে চকলেট মুখে দিলেন, আর ঘুমকে জানালেন বিদায়।
কারণ চকলেটে যেমন থাকে ক্যাফিন তেমনি থাকে চিনি।
কার্লি বলেন, “চিনি বা মিষ্টি আরেকটি উপাদান যা ঘুমের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় ফলে ঘুমে সমস্যা হয়।”
তাই চকলেট ঘুমাতে যাওয়ার দুতিন ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত।
কোমল পানীয়
এই ধরনের পানীয়তে চিনি এবং ক্যাফিন দুটোই থাকে। এমনকি চিনি ছাড়া বা ডায়েট কোমল পানীয় ঘুমাতে যাওয়ার আগে এড়ানো উচিত।
কারণ হিসেবে কার্লি বলেন, “কোমল পানীয়তে যে বুদবুদ থাকে সেটাতে গ্যাস, পেটফোলা এবং পাকস্থলীতে নানান অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে রাতে পান করলে এই ধরনের সমস্যা বেশি হয়।”
পনির
রাতে পনির খেলে হজমে প্রক্রিয়াতে নানান সমস্যা তৈরি করে। হতে পারে ‘অ্যাসিড রিফ্লাক্স’। কিছু পনিরে উচ্চ মাত্রায় ‘টাইরামিন’ থাকে।
কার্লি ব্যাখ্যা করেন, “টাইরামিন’ হল এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড, যা গাঁজানো খাবারে থাকে। এটা উদ্দিপক হরমোন ‘নোরেপিনেফ্রিন’য়ের নিঃসরণ বাড়ায়। ফলে দেহ জেগে থাকে, ঘুম আসতে চায় না।”
টক ফল
‘অ্যাসিড রিফ্লাক্স’য়ের অন্যতম কারণ হয় ‘সিট্রাস’ বা টক ফল। যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবেই।
এছাড়া লেবু, কমলা, জাম্বুরা- এই ধরনের ফলগুলোতে প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক উপাদান থাকে। আর রাতে বারবার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে ঘুমের সমস্যা হবেই।
এই কারণে স্বল্প অ্যাসিডযুক্ত ফল যেমন- কলা বা আম- রাতে খাওয়ার পরামর্শ দেন, কার্লি।
অ্যালকোহল
মদ্যপান শরীরে জন্য খারাপ। অনেকেই রাতে ঘুমের জন্য অ্যালকোহল সেবন করেন। তবে সেটা হিতে বিপরীত হয়।
অ্যালকোহল যুক্ত পানীয়তে ‘টাইরামিন’ থাকেই। যা স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাসের জন্য ক্ষতিকর।
মসলাদার খাবার
মসলার অনেক গুণ থাকলেও রাতে মসলাদার ঝাল খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
‘অ্যাসিড রিফ্লাক্স’ বুক জ্বালাপোড়ার মতো বিষয় রাতের ঘুম নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। তাই রাতে খাবার হতে হবে হালকা ও সাধারণ।
আইস ক্রিম
মিষ্টি খাবারের মতো আইস ক্রিমও রাতের ঘুম নষ্ট করে দিতে পারে।
এতে থাকা উচ্চ মাত্রায় ‘স্যাচুরেইটেড ফ্যাট’ সুন্দর ঘুম নষ্ট করতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাতীয় খাবার পেটে অস্বস্তি তৈরি করার পাশাপাশি ‘অ্যাসিড রিফ্লাক্স’ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।”
আরও পড়ুন