এখনও শীতের আমেজ আছে। বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা কম।
আর এই সময়ে ত্বক থেকেও আর্দ্রতা হারায়। ফলে টানটান ও খসখসে দেখায় চামড়া।
তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রসাধনীর প্রতিষ্ঠান কিহল’সয়ের ভারতীয় শাখার ‘এডুকেশন অ্যান্ড কাস্টম এক্সপেরিয়েন্স’য়ের প্রধান রজত মাথুর এই বিষয়ে বলেন, “শুধু ক্রিম নয়, ত্বক পরিষ্কার করার প্রসাধনী থেকে সানস্ক্রিন- সব কিছুই শুষ্ক আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যবহার করতে হয়।”
টাইমসঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি সাবধান করে বলেন, “যার ঘরে হিটার ব্যবহার করেন তাদের ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।”
তাই শুষ্ক মৌসুমে প্রসধানীর ব্যবহার করতে হবে বুঝেশুনে।
আর্দ্রতা রক্ষাকারী ক্লেঞ্জার
আর্দ্রতা রক্ষাকারী ক্লেঞ্জার ত্বক শুষ্ক না করেই পরিষ্কার করে এবং টানটানভাব ধরে রাখে। এতে ড্যাসল, গ্লুকোসাইড, কোকো বিটিন, মিরিস্টিক অ্যাসিড থাকে যা ত্বককে কোমল ও মসৃণ করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও, ক্যালেন্ডুলা, স্কোয়ালেইন ইত্যাদি উপাদান ত্বককে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি মসৃণ করতে সহায়তা করে।
হায়ালুরনিক অ্যাসিডযুক্ত সিরাম ব্যবহার
এই উপাদান ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং কোমলভাব আনে। এছাড়াও হায়ালুরনিক অ্যাসিড সেরাম সমৃদ্ধ প্রসাধনী ত্বকের শুষ্কতাজনিত ভাঁজ কমায়।
দিনে এই সেরাম ব্যবহারের পরে সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
জেল বা তরল ময়েশ্চারাইজারের পরিবর্তে এমলিয়েন্ট সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার
ত্বকের ধরন ও অবস্থা বুঝে এমলিয়েন্ট সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে স্কোয়ালেন, অ্যাভোকাডো, কাঠবাদামের তেল থাকে যা শীতে ত্বকের শুষ্কতা কমায়।
থিনার ও তরল লোশনের বদলে তেল ভিত্তিক ক্রিম এবং অয়েনমেন্ট বা মলম ব্যবহার করা ভালো। তরল প্রাকৃতিকভাবেই বাষ্পায়িত হয়ে যায় এবং আর্দ্রতা হ্রাস পায়। ঘন ময়েশ্চারাইজার দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় ও ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার
এই সময়ে সূর্যের আলোর প্রখরতা বাড়ছে। তাই কোনোভাবেই সানস্ক্রিন বাদ দেওয়া যাবে না।
উচ্চ এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহারে জ্বলুনি, বয়সের ছাপ ও শুষ্কতা কমায়।
এছাড়া বাতাসের শুষ্কতার কারণে ত্বকে রুক্ষতা, ফাঁটা, চামড়া ওঠা এবং সংক্রমণ দেখা দেয়। উন্নতমানের সানস্ক্রিন ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
দূষণরোধী সানস্ক্রিন ত্বক সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি দূষণের কারণে হওয়া ত্বকের ক্ষতি থেকেও বাঁচাতে সহায়তা করে।
মৃদু এক্সফলিয়েটর ব্যবহার
ত্বক পরিষ্কার ও সুস্থ রাখতে এক্সফলিয়েট করা জরুরি। ত্বকের লালচেভাব, চামড়া ওঠা এবং জ্বলুনি কমাতে মৃদু এক্সফলিয়েটর ব্যবহার করা উপকারী।
ঠোঁটের কথা ভুলে গেলে চলবে না
ঠোঁটের শুষ্কতা এড়াতে এবং ফাঁটাভাব কমাতে আর্দ্র রাখা প্রয়োজন। ত্বক পরিচর্যার রুটিনে ‘লিপ অয়েলস’ বা গ্লস ব্যবহার করা উপকারী। সূর্যের আলো থেকে সূরক্ষিত রাখতে ঠোঁটেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
ত্বকে বডি বাটার ব্যবহার
রুক্ষ আবহাওয়াতে সাধারণ লোশন দিয়ে ত্বকের আর্দ্রতা বা কোমলতা রক্ষা করা যায় না। তাই প্রয়োজন ‘বডি বাটার’। এটা ত্বকের সূক্ষ্ম ভাঁজ ও বলিরেখা কমায় এবং মসৃণভাব আনে।
আরও পড়ুন: