ত্বকের ধরন বুঝে মেইকআপ রিমুভার

ত্বক সুরক্ষিত রাখতে মেইকআপ রিমুভার অন্যতম দরকারী জিনিস। মেইকআপ করার পরে তা ঠিক মতো তোলা না হলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2019, 12:54 PM
Updated : 6 Feb 2019, 12:54 PM

তবে ত্বকের ধরন বুঝেও মেইকাপ তোলার সামগ্রী ব্যবহার করতে হয়।

কোন ধরনের ত্বকে কী ধরনের মেইকআপ রিমুভার ব্যবহার করা উচিত সে সম্পর্কে জানানো হল রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে।

‘মিল্ক-বেইজড’ বা ক্রিম ভিত্তিক মেইকআপ রিমুভার: এই ধরনের মেইকআপ রিমুভারে গঠন তরল ও দুধের মতো ঘন। পানি দিয়ে ধোয়ার আগে ভালো মতো তা ত্বকে মালিশ করে নিন। এটা ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে না বরং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।

* শুষ্ক, মলিন ত্বকের জন্য এটা বেশি কার্যকর।

তেল ভিত্তিক মেইকআপ রিমুভার: পানিরোধী মেইকআপ ব্যবহার করে থাকলে এই ধরনের রিমুভার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। এই তেল, মেইকআপ গলিয়ে ফেলে এবং সহজেই তোলা যায়। ত্বকের স্বাভাবিক তেলের কোনো ক্ষতি হয় না। এগুলো অন্যান্য মেইক আপ রিমুভারের চেয়ে বেশি চিটচিটে হয়। তাই এই ধরনের রিমুভার ব্যবহার করে অবশ্যই ফোম ভিত্তিক ক্লিঞ্জার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে।

* সব ধরনের ত্বকে এই রিমুভার ব্যবহার করা যায়

জেল ভিত্তিক মেইকআপ রিমুভার: নমনিয় ত্বক যেমন- চোখের চারপাশ ইত্যাদির জন্য এই ধরনের রিমুভার কার্যকর। পানিরোধী মেইকআপ তুলতে এটা ভালো কাজ করে। এই রিমুভার মেইকআপ নরম করে এবং মেইকআপ তোলা সহজ হয়ে যায়।

জেল ত্বক মসৃণ করে এবং আর্দ্র রাখে। পানির সঙ্গে এটা খুব ভালো কাজ করে। তাই ত্বক পানি দিয়ে ভিজিয়ে এই রকমের রিমুভার ব্যবহার করতে হয়।

* তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটা বেশি উপযোগী।

মাইসেলার ওয়াটার: এটা বহুমুখী পণ্য। এটা টোনার ও ক্লিঞ্জার এমনকি মেইকআপ রিমুভার হিসেবে কাজ করে। এর অণু পানিতে শোষিত হয় এবং ময়লা, তেল ও মেইকআপ তুলতে সাহায্য করে। তুলা বা টিস্যু মেইসেলার ওয়াটার’য়ে ডুবিয়ে তা দিয়ে মেইকআপ তুলে নিন।

* যে কোনো ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী।

মেইকআপ তোলার আদর্শ উপায়

চোখের মেইকআপ তোলা বেশ কঠিন। তাই এটা দিয়েই শুরু করা উচিত। মেইকআপ রিমুভার চোখের পাতায় মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এটা মেইকআপ, মাস্কারা, আইশ্যাডো, আইলাইনার ইত্যাদি সহজেই তুলতে ফেলতে সাহায্য করে। চোখের চামড়া নরম হয়। তাই এইখানে স্ক্রাব করা যাবে না।

সারা মুখে মেইকআপ রিমুভার লাগান। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে টিস্যুর সাহায্যে তা তুলে ফেলুন। প্রয়োজনে একাধিক টিস্যু ব্যবহার করুন।

মেইকআপ সম্পূর্ণ না ওঠা পর্যন্ত একই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

সম্পূর্ণ মেইকআপ ওঠার পরে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগান। নয়ত ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে।

মনে রাখতে হবে

পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেনো, রাতে মেইকআপ না তুলে ঘুমাতে যাবেন না। মেইকআপ না তুললে ত্বকের ক্ষতি হয়। দীর্ঘক্ষণ মেইকআপ করা থাকলে ত্বক শ্বাস নিতে পারে না। ফলে ত্বকে সমস্যা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত বয়সের ছাপ ফেলে। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মেইকআপ তুলে নেওয়া উচিত।

ছবি: রয়টার্স।