অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়।
Published : 24 Dec 2024, 04:26 PM
বাসায় আত্মিয়-স্বজন বন্ধুবান্ধবদের দাওয়াত করে খাওয়ানোর মাঝে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
তবে সেই আয়োজনে নিজের ও দাওয়াতীদের সুবিধার্থে কিছু বিষয় খেয়াল রাখার প্রয়োজন পড়ে।
অতিথিদের খাবারের বাধ্যবাধকতা নিয়ে ভাবা
অতিথিদের কারও মধ্যে খাবার নিয়ে কোনো সমস্যা থাকতেই পারে। সেটা হতে পারে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে কিংবা শারীরিক কারণে।
তাই মার্কিন ‘সেলিব্রেটি ইভেন্ট ডিজাইনার’ এডওয়ার্ড পেরোত্তি রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “এমন খাবার নির্বাচন করুন, যাতে সব অতিথি সমানভাবে উপভোগ করতে পারেন। কেউ যে নিজেকে আলাদা মনে না করেন।”
খাবার পরিবেশনায় মাত্রাতিরিক্ত মনোযোগ
সাজিয়ে গুছিয়ে খাবার পরিবেশনে, পেট ভরার আগে চোখে তৃপ্তি আনে। তবে খাদ্য-সাজ অতিরিক্ত হওয়া উচিত না।
পেরোত্তির মতে, “সহজ সরল স্বাভাবিক বা ঐতিহ্যগতভাব বজায় রেখে খাবার পরিবেশনা যতটুকু সাজ প্রয়োজন ততটুকুই যথেষ্ট। অতি সাজ দিতে গেলে সময়ের অপচয় তেমনি খাটনিও বেশি পড়বে।”
অত্যাধিক পরিশীলিত খাবার পরিবেশ
পরিবেশনে অতিরিক্ত সাজ দেওয়ার মতো অতিমাত্রায় ‘সফিস্টিকেইটেড’ খাবারের আয়োজনে অতিথিদের মনে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
পেরোত্তি উদাহরণ দেন, “ধরা যাক আপনি হয়ত খাবারের আগে খুব দামি পনির খেতে দিয়েছেন। তবে অতিথিরা তো আর পনির বিশেষজ্ঞ না। ফলে তাদের কাছে পনিরের পরিবর্তে পরিমাণের দিকে নজর যেতে পারে।”
অতিথিদের মনে দাগ কাটতে চাইলে ‘ফ্যান্সি’ খাবার এড়িয়ে স্বাদে তাদের আনন্দ দিতে পারে এরকম খাবার নির্বাচন করাই শ্রেয়।
বসার জায়গা ভাগ করে দেওয়া
মনে হতে পারে অতিথিদের বসার জায়গা যার যার মতো ভাগ করে দেওয়াটা ভালো বিষয়। যাতে সবাই টেবিলে একসঙ্গে বসতে পারে।
পেরোত্তি বলেন, “বড় টেবিল হলে এই ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে অতিথিদের নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী বসতে দিলে তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। আর দাওয়াতের পরিবেশ হবে বন্ধুভাবাপন্ন।”
সাহায্য না নেওয়া
এক হাতে সব সমালানোর মানসিকতা দূর করতে হবে। ‘হোস্ট’ সব কাজ করবে এমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই।
আর সব কাজ নিজে করতে গেলে দাওয়াত দিয়ে নিজেও মুহূর্তগুলো উপভোগ করা সম্ভব হয় না।
পেরোত্তি বলেন, “সাহায্য নেওয়ার মানসিকতা গড়ে নিন। এতে বাসার আয়োজন আরও ঘরোয়া হয়ে উঠবে। অতিথিদের মধ্যে অনেকেই চাইবে প্লেটগুলো এগিয়ে দিতে, রান্নাঘর থেকে খাবার নিয়ে টেবিলে পরিবেশন করতে। এই ধরনের সাহায্যগুলো আন্তরিকতা বাড়ায়।”
সকালে সব কিছু পরিষ্কার করার পরিকল্পনা
অতিথিরা চলে যাওয়ার পর ক্লান্ত দেহটা বিছানায় এলিয়ে দিতে মন চায়। সকালে সব পরিষ্কার করা যাবেনে এরকম ভাব জেগে ওঠে।
তবে পেরোত্তি বলেন, “ভবিষ্যত ভাবুন। সারা রাত রেখে দেওয়া এটো প্লেট সকালে ধুতে আরও বেশি কষ্ট করতে হবে। বরং রাতের মধ্যে সব গুছিয়ে ঘুমালে সকালে উঠে পরিষ্কার রান্নাঘর দেখে মানসিক প্রফুল্লতা কাজ করবে।”
সকালে অগোছালো ঘর বা রান্নাঘর দেখে এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়। যেটা পরেরদিনটা মাটি করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
আরও পড়ুন
রাতের খাবার আগে খাওয়ার উপকারিতা
গভীর রাতে খাওয়া, মোটেই ভালো না