শীত মানেই শুষ্কতা। এই সময় ত্বক যেমন আর্দ্রতা হারায় তেমনি চারপাশের পরিবেশও শুষ্ক হয়ে পরে। তাই ধুলাবালির পরিমাণও বেড়ে যায়।
Published : 05 Dec 2014, 04:15 PM
হাফিংটনপোস্ট ডটকম-এ শীতের সময় কি ধরণের এলার্জি হতে পারে সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পোস্ট করা হয়।
ধুলা থেকে এলার্জি
পুরাতন বেডিং, ম্যাট্রেস, কার্পেট এবং পুরাতন অব্যবহৃত আসবাবপত্রের ধুলার কারণে এ ধরনের এলার্জি হতে পারে। সেক্ষেত্রে যাদের ধুলায় এলার্জি আছে তাদের ঘরে কার্পেট ও বিছানায় ‘ডাস্টপ্রুফ কভার’ ব্যবহার করতে হবে। আর নিয়মিতভাবে বিছানার কভার ইত্যাদি পরিষ্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। আর কার্পেটের ধুলা পরিষ্কার করতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করতে হবে।
ছত্রাক
ঘরের স্যাঁতসেঁতে অংশ যেমন বাথরুম, স্টোররুম, বেইজমেন্ট ইত্যাদি স্থানে ছত্রাক বা ছাতা পড়ে। বায়ুবাহিত ছত্রাকের কারণে অ্যাজমা বা হাঁপানি হতে পারে।
নিজের ঘর ছত্রাক মুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তাই বাসার পানি চলাচল ব্যবস্থা ত্রুটিমুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। ঘরের পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোন স্থানে ছত্রাক জন্মালে পানি ও ডিটারজেন্ট দিয়ে তা পরিষ্কার করে স্থানটি ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।
পশু-পাখির মৃত কোষ ও লোম
অনেকেই ঘরে পোষা প্রাণী পালতে পছন্দ করেন। আর সব গরম রক্তের প্রাণীর চামড়া থেকে মরা কোষ উঠে। বাসায় থাকা পোষা প্রাণীর চামড়ার মরা কোষ এবং লোমের কারণেও অনেক ধরনের অ্যালার্জি হতে পারে।
শীতকালে পোষা প্রাণী ঘরের ভেতরে সময় কাটায় বেশি। এখান থেকেও অ্যালার্জির লক্ষন দেখা দিতে পারে।
এর থেকে বাঁচতে পোষা প্রাণীকে বিছানা ও ঘরের অন্যান্য বহুল-ব্যবহৃত জায়গাগুলো থেকে দূরে রাখতে হবে। আর সপ্তাহে অন্তত একবার প্রিয় প্রাণীকে গোসল করানো উচিত।
ধোয়া ও দূষণ
শীতের সময় আরাম করতে অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা উপভোগ করেন। কাঠ বা কাগজ পোড়ানোর ধোয়া আর যানবাহনের ধোয়া যা আমাদের চারপাশের পরিবেশ দূষিত করছে। আর দূষণ এবং ধোয়া থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে।
যাদের এরকম সমস্যা আছে তারা ধোয়ার হাত থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
ছবি: রয়টার্স।