ভাত রান্নাটা আপাতদৃষ্টিতে খুব সহজ মনে হলেও এই সহজ কাজটাও করতে গিয়ে কোথায় কিছুটা গোলমাল হলে ভাত অন্যরকম হয়ে যায়। পানির কমবেশি, তাপ প্রয়োগের সঠিক আন্দাজ করতে না পারায় ভাত নরম বা শক্ত, চিটচিটে হয়ে যেতে পারে। আবার ঘরে নতুন চাল আসলে, পানি পরিবর্তন হলেও সেই অনুযায়ি ভাত রান্নার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হয়।
Published : 12 Jul 2022, 09:26 PM
‘রিয়েল সিম্পল’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন জানানো হয় ‘রাইস কুকার’ ছাড়া কিভাবে সুন্দর ও সহজ উপায়ে ভাত রান্না করা যায় নেই সম্পর্কে।
উপকরণ
এক কাপ চালের জন্য প্রথমে ওই কাপের পুরো এক কাপ, পরে কাপের চারভাগের তিনভাগ পানি নিতে হবে। আর লাগবে এক চা চামচ লবণ।
পদ্ধতি
প্রথমেই চাল ধুয়ে আলাদা করে রাখুন। আঁটসাঁট হয়ে বসে এমন ঢাকনাওয়ালা পাত্র নিয়ে হবে ভাত রান্নার জন্য। তাতে পরিমানমতো পানি নিয়ে তা ফুটাতে দিতে হবে। ফুটে উঠলে তাতে লবণ যোগ করতে হবে।
চালের পরিমান যদি এক কাপ বাড়ে তবে প্রথমে এক কাপ চালে জন্য যতটুকু পানি নিয়েছিলেন দ্বিতীয় কাপ চালের জন্যও ঠিক সেই পরিমান পানি আরও যোগ করতে হবে।
এবার ফুটন্ত পানিতে চাল ঢেলে দিতে হবে। ধীরে ধীরে সাবধানে ফুটন্ত পানিতে চাল ঢালা উচিত। অন্যথায় ফুটন্ত গরম পানি ছিটে গায়ে পড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাবে।
কাঠের খুনতি দিয়ে ভাত নাড়তে হবে যাতে দলা বেঁধে না থাকে। তবে খুব বেশি নাড়ানো যাবে না। বেশি নাড়লে ভাত আঠালো হয়ে যাবে।
ভাত রান্নার পাত্রটি শক্ত করে ঢেকে রাখতে হবে এবং চুলা কম আঁচে রাখতে হবে। এমনভাবে প্রায় ১৮ মিনিট সময় নিয়ে রান্না করতে হবে ও চুলে থেকে সরিয়ে আরো পাঁচ মিনিট ভাপে রাখতে হবে। রান্নার সময় ঢাকনা খোলা না নাড়ানো যাবে না, এতে ভাত নরম হয়ে যেতে পারে।
পরিবেশনের আগে কাটা চামচ দিয়ে নেড়ে নেয়া
পরিবেশনের ঠিক আগে, ভাতগুলি আলাদা করার জন্য একটি কাঁটাচামচ দিয়ে আলতো করে নেড়ে নিতে হবে। খাওয়ার অনেক আগেই যদি ভাত রান্না শেষ হয়ে গিয়ে থাকে তবে ঢাকনা সরিয়ে একটা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন। বাড়তি আর্দ্রতা ও ভাপ শুষে নিবে তোয়ালে ফলে ভাত অতিরিক্ত সিদ্ধ বা চিটচিটে হবে না।