উদরপূর্তির আগে যা করা উচিত

পেট পুরে খাওয়ার আগে শরীরকে এজন্য প্রস্তুত করতে হবে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2019, 09:56 AM
Updated : 6 May 2019, 09:56 AM

সংযমের মাসে খাওয়া দাওয়ায় সংযম কতটুকু রাখতে পারেন যা নিজেকেই প্রশ্ন করে দেখুন। সারাদিন পর ইফতারে স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক কিছু খাওয়া হয়।

ফলে যেখানে ওজন কমার কথা, উল্টা আরও বেড়ে যায়। আর যদি কোথাও দাওয়াত পড়ে তাহলে তো কথাই নেই।

এই ধরনের পরিস্থিতিতে বাড়তি খাবার গ্রহণের জন্য শরীরকে আগেভাগেই তৈরি করলে এর ক্ষতিকর প্রভাব কমবে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে বেশি খাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি সম্পর্কে জানানো হল।

আপেল: খাবারের ওপর ঝাপিয়ে পড়ার কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে একটি পুরো আপেল খেতে পারেন। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভোজ্য আঁশ থাকে। ফলে এরপর যে খাবারগুলো খাবেন তা থেকে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা ১৫ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে।

পরিকল্পনা: খাওয়ার সুযোগ থাকলেই যে সবকিছু খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বিশেষ করে ব্যুফে খাওয়ার ক্ষেত্রে এবং দাওয়াত খাওয়ার ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশি প্রযোজ্য।

কী খাবেন, কতটুকু খাবেন তা আগেই ঠিক করে নিতে হবে। প্রচুর ক্যালরি থাকে এমন খাবার এক পদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করতে হবে। এতে অন্যান্য খাবারগুলোর স্বাদও উপভোগ করতে পারবেন আর খাওয়া পর অস্বস্তিও বোধ হবে না।

খালিপেট: রাতে দাওয়াত আছে বলে সারাদিন না খেয়ে থাকার পরিকল্পনা ভুল। না খেয়ে থাকলে বিপাকক্রিয়া মন্থর হয়ে যায়। আবার পেট খালি থাকার কারণে খাবেনও প্রযোজনের অতিরিক্ত। ফলে অতিরিক্ত খাবারের অতিরিক্ত ক্যালরি শরীর চর্বি হিসেবে জমা করবে।

তাই সারাদিন স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস চালিয়ে যেতে হবে। এক বাটি ফল কিংবা একমুঠ বাদামই বিপাকক্রিয়ার গতি স্বাভাবিক রাখার জন্য যথেষ্ট।

তবে রোজার মাসে পরিস্থিতি ভিন্ন। তাই ইফতারের সময় যতটা সম্ভব হালকা খাবার খেতে হবে। ভারি খাবার থাকলে তা নামাজের পর রাতের খাবার হিসেবে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

দাঁত ব্রাশ: খাওয়া আগে দাঁত ব্রাশ করলে কিংবা পুদিনা পাতার ঘ্রাণ নিলে খাওয়ার রুচি নিয়ন্ত্রণে থাকে। ক্ষুধা কমাতে ‘মিন্ট’-জাতীয় গন্ধ বেশ কার্যকর।

পানি পান: সবসময় খাওয়া শুরু করার আগে এক-দুই গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে বেশি খেয়ে ফেলার আশঙ্কা কমবে এবং খাবারের স্বাদ আরও ভালোভাবে উপভোগ করা যাবে।

ঘুম: ঘুম ভালো হলে খাবার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়। ঘুমের ঘাটতি থাকলে মন চাইবে চিনিতে ভরপুর অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে। তাই প্রতিদিন সাত ঘণ্টা ঘুম কোনো অবস্থাতেই বাদ দেওয়া চলবে না।

আরও পড়ুন