ওজন কমাতে খেতে হবে

না খেয়ে বা কম খেয়ে থাকলে ওজন কমার চাইতে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2018, 09:35 AM
Updated : 25 March 2018, 09:35 AM

অনেকেই মনে করেন, ওজন যেহেতু খাওয়ার জন্য বেড়েছে তাই খাওয়া কমিয়ে দিলে ওজনও কমে যাবে। ধারণাটা ঠিক নয়।

ওজন একবার বেড়ে গেলে তা কমানো বেশ ঝক্কির কাজ, বিশেষ করে যারা খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না এবং ব্যায়াম করারও সময় পান না।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে চিকিৎসাবিজ্ঞানের সূত্রে জানানো হয়, কম খেলে ওজন কমার চাইতে শারীরিক ক্ষতি বেশি হয়।

কম খাওয়া আর পরিমাণ মতো খাওয়া: এই দুই বিষয়কে এক করে দেখা হলেও আসলে রয়েছে বেশ বড় ধরনের তফাৎ। কম খাওয়ার মানে হল নিজেকে অভুক্ত রাখা বা শরীরের খাবারের চাহিদা অপূর্ণ রাখা।

অপরদিকে পরিমাণ মতো খাওয়ার মানে, যতটুকু প্রয়োজন ঠিক তততটুকুই খাওয়া, যা স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।

না খেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থেকে শরীর বঞ্চিত হতে পারে, দেখা দিতে পারে অবসাদ, বমিভাব, হতে পারে স্বাস্থ্যহানী। হয়ত আপনার ওজন কমবে, তবে তা স্বাস্থ্যকর হবে না।

কম খাওয়ার ক্ষতিকর দিক: নিজেকে অভুক্ত রাখার কারণে অবসাদ, ডায়রিয়া, গলব্লাডারে পাথর, বমিভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, হৃদরোগ, রক্তশূন্যতা, পেশিক্ষয়, গাউট, ইলোক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদিতে ভুগতে হতে পারে।

কম খাওয়া বলতে যা বোঝায়: প্রথমেই ক্ষুধার অনুভুতি বুঝতে হবে এবং ক্ষুধা লাগলে খেতে হবে। অভুক্ত থাকলে বিপাকক্রিয়া থেমে যায়, তখন শরীর ক্যালরি বাঁচানোর চেষ্টা করে। ফলে অবসাদ দেখা দেয়।

এসময় খেতে বসলে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলতে পারেন। কারণ একেই তো বেশি ক্ষুধা পেয়েছে আবার শরীরে ক্যালরির চাহিদাও বেশি।

এখানেই সাবধান হতে হবে। বেশি খেলে শরীর ক্যালরি জমানো শুরু করবে চর্বি হিসেবে, ফলে বাড়বে ওজন।

ওজন কমাতে খান: বেশি খেলে পেট বাড়বে আর পরিমাণ মতো খেলে বাড়তি ওজন কমবে। ওজন কমানোর জন্য মূলত বিপাকক্রিয়ার গতি বাড়াতে হবে, যাতে চর্বি খরচ হয়। আবার খাওয়া বেশি কমিয়ে দিলে শরীর নিজেকে বাঁচাতে চর্বি জমাবে।

তাহলে যা করতে হবে: স্বাস্থ্যকর নাস্তা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপকারী। দুতিন ঘণ্টা পর পর নাস্তা খেতে হবে, যাতে বিপাকক্রিয়া সারাদিন চালু থাকে। ব্যায়াম করাও অত্যন্ত জরুরি।

ব্যায়ামাগারে গিয়ে ভারি ওজন তুলতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে হালকা ব্যায়াম ‍দিয়ে শুরু করুন। কার্ডিও ট্রেইনিং এক্ষেত্রে আদর্শ। শরীর সুঠাম ও পেশিবহুল করতে ওজন তোলার ব্যায়াম করতে হয়। দৌড়ানো, সাঁতার, সাইকেল চালানো ইত্যাদিও বেশ উপকারী ব্যায়াম।

আরও খেয়াল রাখুন: খাদ্যাভ্যাসে প্রচুর আমিষ থাকা উচিৎ। প্রক্রিয়াজাত খাবার যথা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। ফাস্টফুড থেকেও দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। বদলে খেতে হবে ফল, বাদাম কিংবা দই।

চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে, বেছে নিতে হবে গুড় কিংবা মধু। প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেইট ক্ষতিকর। কারণ এথেকে পুষ্টি ও আঁশ বেরিয়ে যায় প্রক্রিয়াজাতকরণের কারণে।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন