পুষ্টিবিজ্ঞানের বরাত দিয়ে খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিপাকীয় প্রক্রিয়া যখন বেশি থাকে তখনই ভাত বা ভারী খাবার খাওয়ার উপযুক্ত সময়।
ওজন কমাতে ভাত খাওয়ার সঠিক সময়: ভারতীয় খাদ্যতালিকায় ভাত একটি অবিচ্ছেদ্য খাদ্য। ভারতীয়দের কাছে খাদ্যতালিকায় ভাত রাখা কেবল প্রয়োজনীয় নয় বরং আবশ্যকও। বিগত কয়েক বছর ধরে ভাত খাওয়া বিষয়টি নিয়ে নানা রকমের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।
পথ্যবিদ্যাবিশারদ থেকে শুরু করে পুষ্টিবিদ সকলেরই ভাত খাওয়া নিয়ে নানান মতামত আছে। অনেকে তাদের খাদ্য তালিকা থেকে একেবারেই ভাত বাদ দেয়। অনেকে আবার সপ্তাহে খাওয়া মাঝে মধ্যে ভাত খেয়ে থাকেন।
তবে ভাত খাওয়ার উপযুক্ত সময় হচ্ছে তখনই যখন তা পেটের উপর কোনো কুপ্রভাব ফেলবে না।
সঠিক সময়: বেশিরভাগ গবেষণাতেই দেখা গেছে, দুপুরে ভাত খাওয়ায় উপযুক্ত সময়। এর পেছনে দুইটি কারণ কাজ করে। প্রথমত, দুপুরে আমাদের বিপাক ক্রিয়া বেশি থাকে এবং আমাদের শরীর ভারী খাবার হজম করতে পারে।
সকালে নাস্তার পরে, এই সময়ে শরীর ক্ষুধা অনুভব হয় আর পরবর্তী আট থেকে দশ ঘণ্টা চলার জন্য শক্তির প্রয়োজন পড়ে।
দ্বিতীয়ত, দিনের বেলা আমাদের শরীর নানা রকমের উৎপাদনমূলক কাজে ব্যস্ত থাকে। যেগুলোর শক্তির যোগান দেওয়ার জন্য শরীরে সঠিক উপায়ে জ্বালানীর প্রয়োজন হয়। ভাতের কার্বোহাইড্রেট শরীরের শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
লাল চাল বনাম সাদা চাল
ভাত স্বাস্থকর। এর দ্বিতীয় কোনো উপায় নেই। লাল ও সাদা চালের মধ্যে পার্থক্য মাত্র একটি। তা লাল চালের ভাত ভারী এবং হজমে বেশি সময় নেয়। অন্যদিকে, লাল বা সাদা চাল খাওয়ার মাঝে আহামরি কোনো পার্থক্য নেই, দুটোই হজম করা যায়। তাই সাধারণ যে চাল পাওয়া যায় তা খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
ভিন্ন উপায়ে খাওয়া
নানান উপায়ে চাল খাওয়া যেতে পারে যেমন- পিঠা, পুড়ি, রুটি অথবা খিচুড়ি। এতে কেবল ভাতের প্রতি একঘেয়েমি অনুভব করবেন না। তবে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত পরিমাণে চালের তৈরি খাবার খাওয়া ঠিক নয়, নিজের প্রয়োজন ও পরিমাণ বুঝে খেতে হবে।
আরও পড়ুন