বোরখার নাম ‘অপরাধী’। আরও আছে ‘সাতভাই চম্পা’, ‘বকুল’, ‘শিমুল’ পোশাক।
Published : 14 Jun 2018, 04:08 PM
নামগুলো কি চেনা লাগছে! লাগাই স্বাভাবিক। এগুলো সব ভারতীয় বাংলায় সিরিয়ালের নাম। আর এবার কিরণমালা, বাহুবলী বা বাজিরাও মাস্তানি নয়, ঈদ বাজার মুখর ছিল ভারতীয় বাংলা ও হিন্দি সিরিয়ালে দখলে। তবে ঈদ যত কাছে এসেছে এর ছাপও অনেকটাই কমে গেছে।
পোশাকের নামের সঙ্গে ধরনের কোনো মিল না থাকলেও ঈদ বাজারে দেখা যায় অদ্ভুত নাম ধারী পোশাক। এবছর ঈদ বাজারে সবচেয়ে পরিচিত নাম ‘অপরাধী’। ‘অপরাধী’ কামিজ, ফ্লোর টাচ, পাঞ্জাবি এমনকি বোরখারও দেখা মিলেছে গাউসিয়া নিউমার্কেটের দোকান গুলোতে।
‘অপরাধী’ ছাড়াও ‘শিমুল’, ‘বকুল’, সাতভাই চম্পা নামের পোশাক চোখে পড়েছে। নিউমার্কেটে কামিজ, গাউন নির্বিশেষে ইস্কবাজ, তারা, আরোহি ,গৌরি ইত্যাদি পোশাকে নাম রাখা হয়েছে।
ঈদের বাজারে চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক দোকানে পোশাকের ‘নেম ট্যাগ’ ঝুলানো না হলেও ক্রেতাদের কাছে ইচ্ছে মতো নাম বলে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান, একজন ক্রেতা মিরা।
তিনি আরও বলেন, ‘এক এক দোকানে এক এক নাম। অন্যান্য সময় পোশাকের পুতুলের উপরে নাম লেখা থাকতো এইবার সেই রকম খুব একটা চোখে পড়েনি। তবে দোকানদারই এক এক নাম বলে বিক্রি করছেন ’।
আসলেই এই নামের কোনো ভিত্তি আছে কিনা বা এইসব নাম দেখে ক্রেতারা আগ্রহী হন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মোটেও না, বরং এটা বেশ হাস্যকর লাগে। ছোট শিশুরা হয়ত মাঝে মধ্যে নামের জন্য পোশাক কিনতে চায় কিন্তু বড়দের মধ্যে এর কোনো প্রভাব পড়ে বলে আমি মনে করি না।”
আরেকজন ক্রেতা সাদিয়া বলেন, ‘এবার খুব একটা নাম চোখে পড়েনি। তবে বিক্রেতারা মুখে নানান নাম বলে পোশাক বিক্রি করছেন। তবে সামাজিক গণযোগাযোগে ‘অপরাধী’ নামের বেশকিছু পোশাক দেখেছি আর কিছুক্ষণ আগে গাউসিয়ার দুই তলার ‘অপরাধী’ বোরখা চোখে পড়ল।”
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পোশাকের নামের পরিবর্তন হলেও দাম বা ধরনের খুব একটা পরিবর্তন হয় নি।
এইসব অদ্ভুত নামের পোশাকের দাম কেবল নামের জন্যই অনেকটা চড়া হয়ে থাকে। সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে দাম হাকানো শুরু হয়। তবে দামাদামি করে সাধ্যের মধ্যে তা ক্রয় করা যায়।