শরীরচর্চার অভাব, জাঙ্কফুড খাওয়া, অফিসের চেয়ারে দীর্ঘসময় বসে থাকা ইত্যাদি সবই স্বাস্থ্যেরে উপর একেকটি মারাত্বক হুমকি। এই হুমকিগুলোর সঙ্গে মোকাবেলা করতে চাই স্বাস্থ্যকর খাবার।
Published : 07 Nov 2017, 02:26 PM
পুষ্টিবিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত এরকম কয়েকটি খাবার নিয়ে খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ক্লান্তি কাটানোর খাবারগুলোর নাম এখানে দেওয়া হল।
চোখের জন্য: প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, এর উপর আমাদের নির্ভরশীলতাও বাড়ছে। প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে প্রতিদিন দীর্ঘসময় আমরা কম্পিউটার, মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ইত্যাদির দিকে তাকিয়ে থাকি, এতে চোখের উপর মারাত্বক চাপ পড়ে। যেহেতু প্রযুক্তি ছাড়া যাচ্ছে না, তাই চোখকেই এই বাড়তি চাপ সহ্য করার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। এজন্য চাই ওমেগা-থ্রি ফ্যাট, লুটেইন, দস্তা এবং ভিটিামিন-এ,সি ও ই। এই উপাদানগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে খাদ্যাভ্যাসে থাকতে হবে সালাদ, পালংশাক ইত্যাদি সবুজ শাকসবজি, ডিম, লেবুজাতীয় ফল, জাম, বাদাম, বীজজাতীয় খাবার, তেলযুক্ত মাছ ইত্যাদি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য: ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর একটি আদর্শ স্থানের নাম অফিস। কারণ, অনেকগুলো মানুষ দিনের সবচাইতে বেশি সময় এখানেই কাটায়। তাই একজন সহকর্মীর সামান্য সর্দি-কাশিও পুরো অফিসে ছড়িয়ে পড়া খুব একটা অবিশ্বাস্য নয়। তাই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিজের রোগ প্রডিতরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য খেতে হবে লেবুজাতীয় ফল, লালমরিচ, ব্রকলি, রসুন, আদা, কিউই, পেঁপে ইত্যাদি।
বিপাক শক্তি বাড়াতে: বিপাকক্রিয়া যদ দ্রুত হবে, তত বেশি ক্যালরি খরচ হবে। যারা অফিসে দীর্ঘসময় বসে কাটান তাদের বিপাক ক্ষমতা কার্যকর থাকা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য খাদ্যাভ্যাসে থাকতে হবে কফি, চা, মটরশুঁটি, মুরগি ও টার্কির মাংস এবং আদা, কায়ান পেপার, এলাচ ইত্যাদি মসলা।
মস্তিষ্কের জন্য: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস শুধু শরীর নয়, মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। শিক্ষার্থী, চাকরিজীকী, ব্যবসায়ী সকলেরই প্রধান হাতিয়ার এই মস্তিষ্ক। তাই মস্তিষ্কের ধূসর কোষগুলোকে প্রখর রাখতে চাই তেলযুক্ত মাছ, ব্লুবেরি, বাদাম, বীজজাতীয় খাবার, আঁশে ভরপুর খাবার, বেদানার রস, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি।
অন্ত্রের জন্য: গবেষণা বলে, ১০ বছর বা তারও বেশি সময় চেয়ারে বসে থাকা চাকরি করলে অন্ত্রের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় দ্বিগুন। এজন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। সেই সঙ্গে গড়তে হবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, যেখানে থাকতে হবে ব্রকলি, পালংশাক, লেবুজাতীয় ফল, জাম, আঁশযুক্ত খাবার ইত্যাদি।
পরিশেষে লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস যতোটা সম্ভব কম খেতে হবে।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন