ত্বক এবং চুলের ক্ষতির ভয়ে রং খেলার আনন্দ থেকে তো আর বঞ্চিত হওয়া যায় না। বরং কিছুটা যত্ন নিয়ে উপভোগ করতে পারেন এই আনন্দময় সময়।
Published : 15 Mar 2016, 03:20 PM
এখন বিয়ে, গায়ে হলুদ, হোলি উৎসব বা যে কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে অনেকেই রং খেলার আয়োজন করেন। তবে রংয়ের রাসায়নিক উপাদান ত্বক ও চুলের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া রং লেগে কাপড়ও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
তাই রং খেলার আগে কিছুটা প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।
প্রতিটি রং তৈরিতেই রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয়। যে কারণে ত্বকে চুলকানি বা র্যাশ হতে পারে। তাছাড়া রং খেলা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে বাইরে খোলা আকাশের নিচে এবং দিনের বেলা। রোদের তাপে অনেকটা সময় বাইরে কাটাতে হয়। তাই শুধু রং নয় রোদের ক্ষতিকর রশ্মি থেকেও ত্বক সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন।
ঘর থেকে বের হওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে হবে। আমাদের দেশের আবহাওয়ার জন্য এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন উপযোগী। শুধু মুখ নয়, হাত ও পায়েও সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে হবে।
অথবা খুব অল্প পরিমাণে নারিকেল তেল নিয়েও চুলে ও মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিলে রংয়ের কারণে হওয়া ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে।
শুধু ত্বক ও চুল নয়, রংয়ের কারণে নখেরও ক্ষতি হতে পারে। তাই রং খেলার আগে নখে ভালো মানের স্বচ্ছ নেইলপলিশ লাগিয়ে নিতে পারেন।
মূল বিপত্তি শুরু হয় রং খেলার পরে ত্বক, চুল ও পোশাক থেকে রং ওঠাতে গিয়ে।
ত্বকে লেগে থাকা রং ওঠাতে ক্লিনজিং ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন। এরপর প্রচুর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। চোখের আশপাশের ত্বকও হালকা হাতে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। সবশেষে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।
এরপর গোসলের সময় লোফা বা গা ঘষার জন্য নরম কাপড় দিয়ে ভালোভাবে শরীর ডলে নিতে হবে। গোসলের পরপরই পুরো গায়ে লোশন মেখে নিতে হবে যেন ত্বক শুষ্ক না হয়।
চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর পানি দিয়ে প্রথমে আলগা রং ধুয়ে ফেলতে হবে, এরপর হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোভাবে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। ভালোভাবে মাথার ত্বকে মালিশ করে শ্যাম্পু করতে হবে। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
চাইলে শ্যাম্পু করার শেষে চুলে বিয়ার ব্যবহার করতে পারেন। বিয়ার চুল নরম করে অনেকটা কন্ডিশনারের মতোই। বিয়ারের সঙ্গে খানিকটা লেবুর রসও মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। শ্যাম্পুর পর এই মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
চুলের পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে কিছুদিন চুলেরও যত্ন নিতে হবে। এক টেবিল-চামচ নারিকেল তেলের সঙ্গে এক চা-চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন। কুসুম গরম তেল মাথায় ভালোভাবে মালিশ করুন। চুল যেন ভালোভাবে পুষ্টি পায় সেক্ষেত্রে একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পানি চেপে নিয়ে ওই গরম তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে রাখতে হবে। তোয়ালে ঠাণ্ডা হয়ে গেলে আবারও ভিজিয়ে নিতে পারেন। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
ছবি: আসাদুজ্জামান প্রামানিক।