পয়সা খরচ করার আগে ব্যবহার করে দেখেতে পারেন বডি স্প্রে।
Published : 16 Sep 2015, 05:34 PM
শখের গাড়িতে কেউ রং স্প্রে করে দিল! এখন উপায়? কয়েকদিন আগে এই রকম কাহিনির সামনে পড়তে হয়েছে অনেক রাজধানীবাসীকেই।
গাড়িতে লেগে যাওয়া রং, কালি বা স্প্রে পেইন্টের দাগ ওঠানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জানান পল্টনে অবস্থিত ‘মিলন মটরস’য়ের কর্ণধান হাজী মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, “গাড়িতে লেখার রং ওঠানোর জন্য প্রথমে বডি স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। গাড়ির যে স্থানে স্প্রে রং করা হয়েছে সেখানে বডি স্প্রে খানিকটা ব্যবহার করে কাপড় দিয়ে ঘষে দেখতে পারেন। এতে হালকা রংয়ের লেখাগুলো উঠে যেতে পারে। অথবা কেরোসিন তেলও ব্যবহার করা যেতে পারে।”
হালকা বা সাধারণ রংয়ের দাগ উঠলেও স্প্রে পেইন্ট বা ওই ধরনের রংগুলো গাড়ি থেকে ওঠানো সহজ নয়। তাই গাড়িতে লেখা বা দাগের রং ওঠানোর জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো গ্যারেজে নিয়ে পলিশ করে রং ওঠানোর পরামর্শ দেন মোহাম্মদ আলী।
অধিকাংশ সময় এই ধরনের রং পুরোপুরি ওঠানো সম্ভব হয় না, সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ রং তুলে নতুন করে রং করতে হয়, বলে পরামর্শ দেন তিনি।
রং করার প্রক্রিয়ার শুরুতেই পুরাতন রং তুলে, আস্তর মেরে নতুন রং করাতে হবে।
রাজধানীর গ্যারেজ গুলোতে ছোট গাড়ি সাদা রং করতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা এবং অন্য রং করতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার প্রয়োজন হতে পারে।
“গাড়ি এবং রংয়ের ধরনের উপর নির্ভর করবে টাকার পরিমাণ। ছোট গাড়ি রং করাতে ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা লাগতে পারে।” বললেন আলী।
রাজধানীতে র্যাংগস এবং নাভানা, এই দু’টি ওয়ার্কশপ অটোমেটেড মেশিনে রং করে থাকে।
রং কারার এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটা শেষ করতে সাত দিনের মতো সময় লাগতে পারে।
এছাড়া গাড়িবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই ধরনের রং ওঠানোর জন্য বেশি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়।
- গরম পানির সঙ্গে সাবান ব্যবহার করে সেই সাবান পানি রংয়ের উপর ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বাসন ধোয়ার সাবান বা ‘কার ওয়াশিং সলিউশন’ ব্যবহার করলে ভালো।
- নেইল পলিশ রিমুভার। এটা নখের এনামেল রং তুলতে পারে। ন্যাকড়ায় সামান্য নেইল পালিশ রিমুভার নিয়ে স্প্রে রংয়ের উপর ঘষে দেখা যেতে পারে রং উঠে কিনা। রং উঠানো গেলে গাড়ি ভালো মতো ধুয়ে নিন।
- অ্যাসিটোন, তরল রাসায়নিক পদার্থ। যা নেইল পলিশ রিমুভার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। রাসায়নিক তরল বিক্রি করে বা রংয়ের
- গাড়ির দোকানগুলোতে ওয়াক্সিং ও রাবিং কম্পাউন্ড পাওয়া যায় কিনা খোঁজ নিন। এই রাবিং কম্পাউন্ড কাপড়ে নিয়ে রংয়ের উপর ঘষে দেখুন ওঠে কিনা।
- পেট্রোল ব্যবহার করেও রং ওঠানো যায়। তবে এতে গাড়ি চকচকে ভাব করার জন্য যে ‘কোটিং’ ব্যবহার করা হয় তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- ব্রেক পার্টস ক্লিনার স্প্রে। সুতি কাপড়ে এই তরল স্প্রে করে গাড়িতে করা স্প্রে রংয়ের উপর ঘষলে কাজ হতে পারে। তবে এই কাজ অল্পখানিকটা অংশে করে দেখুন গাড়ির রংয়ে কোনো প্রভাব ফেলে কিনা।
ছবি: ফেইসবুক থেকে।