যেসব তেলে চুল হয় তরতাজা

তেল ছাড়া নিয়মিত চুল পরিচর্যার ধাপ সম্পূর্ণ হয় না। আর বিভিন্ন রকম তেল এই কাজে ব্যবহার করা যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2023, 08:51 AM
Updated : 27 Jan 2023, 08:51 AM

নারিকেল ছাড়াও চুলে ব্যবহার করা যায় বিভিন্ন রকম তেল।

আর একেক তেলের উপকারিতা একেক রকম।

ভারতের ‘দ্যা স্কিন সেন্স, স্কিন অ্যান্ড হেয়ার ক্লিনিক’য়ের প্রতিষ্ঠাতা, ত্বক বিশেষজ্ঞ এবং কসমেটোলজিস্ট ডা. অ্যালেক্য সিঙ্গাপুরি বলেন, “চুলের বৃদ্ধি ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রাচীনকাল থেকেই তেলের ব্যবহার প্রচলিত।”

“চুল ফাটা, রুক্ষতা কমানো এমনকি খুশকির সমস্যা দূর করা থেকে শুরু করে চুল ঘন, শক্ত, সুন্দর ও লম্বা করতে তেল ব্যবহার করা উপকারী”, ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এভাবেই নিজের মন্তব্য পেশ করেন এই ত্বক বিশেষজ্ঞ।

একই প্রতিবেদনে বিভিন্ন তেলের উপকারিতা ও ব্যবহার পদ্ধতিও দিয়েছেন তিনি।  

জলপাইয়ের তেল

চুল মসৃণ ও কোমল রাখে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই এবং অলিয়েক অ্যাসিড চুলের জন্য উপকারী।

এই তেল চুলকে গভীর থেকে মসৃণ করে আর্দ্র রাখে। আর কোমলতা ধরে রাখে। এছাড়াও চুল পাতলা হওয়ার প্রবণতা থেকে রক্ষা করে।

ব্যবহার পদ্ধতি: মাথার ত্বক ও চুলের শুষ্ক অংশে তেল ব্যবহার করতে হবে। তেল ব্যবহারের পর শাওয়ার ক্যাপ পরে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। 

নারিকেল তেল

এই তেলের বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। মাথার ত্বক মসৃণ রাখার পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

চুল ঘন ও সুস্থ রাখতে এই তেল উপকারী। চুলের ক্ষয়রোধ ও শুষ্কতা দূর করতেও নারিকেল তেল চমৎকার কাজ করে। 

ব্যবহার পদ্ধতি: আঙ্গুলের সাহায্যে মাথার ত্বকে নারিকেল তেল মালিশ করতে হবে। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। চাইলে সারা রাতও এই তেল মাথা রাখা যায়।

কাঠবাদামের তেল

রুক্ষ চুলের যত্নে এই তেল চমৎকার কাজ করে। এটা চুলকে কোমল ও মসৃণ রাখে। এতে থাকা ভিটামিন ই চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 

আগা ফাটার সমস্যা রোধ করে চুলের ক্ষয়পূরণ করতে পারে। এই তেল স্টাইল করার সময় চুলের সুরক্ষক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

মাথার ত্বক খুব বেশি শুষ্ক ও রুক্ষ হলে সামান্য পরিমাণ কাঠবাদামের তেল ব্যবহার করে চুল সেট করে নেওয়া যায়।

ব্যবহার পদ্ধতি: উজ্জ্বলতা বাড়াতে সামান্য পরিমাণ কাঠবাদামের তেল হাতের তালুতে মালিশ করে চুলে ব্যবহার করা উপকারী।

টি ট্রি তেল 

মাথার ত্বকের নানান সমস্যা দূর করতে পারে। খুশকি কমায়। এই তেল ব্যাক্টেরিয়া-রোধী। ফলে মাথার ত্বকের সংক্রমণ কমিয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

টি ট্রি তেল মাথার ত্বককে উদ্দীপিত করে, চুলের গোড়ায় পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে। এছাড়াও চুল ও মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে খুব ভালো কাজ করে। 

ব্যবহার পদ্ধতি: ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা টি ট্রি তেল শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে স্বাভাবিকভাবে চুল পরিষ্কার করতে হবে। শ্যাম্পু ব্যবহারের পরে তিন থেকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেললে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

জোজোবা তেল

চুলে বাড়তি ঘনভাব ফুটিয়ে তুলতে চমৎকার কাজ করে এই তেল। আর্দ্র রাখার পাশাপাশি চুলের মসৃণতা ও চকচকেভাবে ফুটিয়ে তোলে। এছাড়া খুশকি ও চুল পড়ার সমস্যা কমাতে পারে।

ব্যবহার পদ্ধতি: তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বক এড়িয়ে কেবল চুলে মালিশ করতে হবে। মাথার ত্বকের এই তেলের ব্যবহার লোমকূপ আবদ্ধ করে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন-

Also Read: পেঁয়াজের তেলে চুল তাজা

Also Read: চুলের যত্নে ঘরোয়া প্যাক

Also Read: জটযুক্ত চুলের যত্ন